প্রাণের ৭১

যদি কেউ সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে প্রতিহতের সক্ষমতা যেন অর্জন করতে পারি: শেখ হাসিনা 

মোহাম্মদ হাসানঃ দেশের ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। তাই সারাবিশ্বে আজকে আমরা মর্যাদা পাচ্ছি। রোহিঙ্গার যে বোঝা আমাদের মাথার উপর তার দ্রত সমাধানে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও আহ্বান জানিয়েছি। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। এর সুফল বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা পৌঁছে দিতে চাই।দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ভূমিহীন, গৃহহীনকে অন্তত একটি করে ঘর করে দেওয়ায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা সংকটময় পরিস্থিতিতে সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে করোনাকালিন সব কিছু ঠিকঠাক চললেও একটা জায়গায় একটু দুশ্চিন্তা সেটা হচ্ছে শিশুদের স্কুল নিয়ে । করোনা পরিস্থিতিতে আমরা শিশুদের স্কুলগুলি খুলতে পারছি না। আশা করি হয়তো সামনে সেই সুদিনটা আসবে আমাদের ছেলে মেয়েরা আবার স্কুলে যেতে পারবে পড়াশোনা শুরু করতে পারবে আগের মত স্বাভাবিকভাবে।

আজ ১৩ ডিসেম্বর রবিবার সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২০ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২০ এর গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজের দেশের নিরাপত্তা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকবে এবং আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি এবং সেকারণে সারাবিশ্বে আজকে আমরা মর্যাদা পেয়েছি। জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি মেনে আমরা সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই,’ কিন্তু কেউ যদি আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে, প্রতিঘাত করবার মত সক্ষমতা যেন আমরা অর্জন করতে পারি-সেভাবেই আমাদের প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি থাকতে হবে। এ বিষয়টি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সবসময় মনে রাখতে হবে। ১৯৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে আসি তখন থেকেই যাত্রা শুরু আর ২০০৯ এ সরকার গঠনের পর থেকে এই পর্যন্ত আমরা সশস্ত্রবাহিনীর ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম হয়েছি, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুখ্যাতি পাচ্ছে। তাছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় শান্তিতে বিশ্বাস করি। এইযে আমাদের এখানে ১০ লাখের ওপরে মিয়ানমারের নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাইনি, আলোচনা করে এটার সমাধান করার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আহ্বান জানিয়েছি যে, এই যে বিশাল একটা বোঝা আমাদের মাথার ওপর, এটা যেন খুব দ্রুত তারা সমাধান করে।

শেখ হাসিনা বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। এর সুফল বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা পৌঁছে দিতে চাই। চলমান মুজিববর্ষ থেকে আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকালীন দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ভূমিহীন, গৃহহীনকে অন্তত একটি করে ঘর করে দেওয়ায় পরিকল্পনা সরকারের চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে সব কিছু ঠিকঠাক চললেও একটা জায়গায় একটু দুশ্চিন্তা সেটা হচ্ছে শিশুদের স্কুল নিয়ে । করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা শিশুদের স্কুলগুলি খুলতে পারছি না। অনলাইনে শিক্ষা ব্যবস্থা বা টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি কিন্তু তারপরেও বাচ্চারা যদি স্কুলে যেতে না পারা এটা তাদের ওপর একটা মনস্তাত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। আশা করি হয়তো সামনে সেই সুদিনটা আসবে আমাদের ছেলে মেয়েরা আবার স্কুলে যেতে পারবে পড়াশোনা শুরু করতে পারবে আগের মত স্বাভাবিকভাবে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

সশস্ত্র বাহিনীকে সব সময় একটি আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন এবং প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানানোর পাশপাশি কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী সনদপ্রাপ্তদের হাতে সনদ তুলে দেন। এবার আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে তিনজন কর্নেল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, দু’জন ক্যাপ্টেন এবং ছয় জন কমান্ডার বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে সাত গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং একজন উইং কমান্ডার অংশগ্রহণ করেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*