প্রাণের ৭১

স্বাধীনের পর ঘাতক-দালালদের তালিকায় মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে ছিলো দুজন

…দেশ স্বাধীনের পর ঘাতক-দালালদের তালিকায় মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে ছিলো দুজন। চৌধুরী মঈনউদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান। একজন বুদ্ধিজীবি হত্যার অপারেশন ইন চার্জ, অন্যজন জল্লাদ। আশরাফুজ্জামান ছিলো জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। বুদ্ধিজীবিদের হত্যায় তার ভূমিকা ছিলো চিফ একজিকিউশনারের। যে গাড়ি করে ঘাতকেরা বুদ্ধিজীবিদের রায়ের বাজারের শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমিতে নিয়ে যেত, তার ড্রাইভার মফিজুদ্দিন ধরা পড়ার পর জবাববন্দীতে তার এই পরিচয়ই দেয়। দুজনে জামাতে ইসলামী অফিসের উল্টোদিকে থাকত। আশরাফুজ্জামানের ৩৫০ নম্বর নাখালপাড়ার বাড়ি থেকে একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি উদ্ধার করে মুক্তিবাহিনী। সেখানে দুটো পৃষ্টায় ২০জন বুদ্ধিজীবির নাম পাওয়া যায় যাদের মধ্যে ৮ জনকে হত্যা করা হয়। তারা হলেন মুনীর চৌধুরী, ড. আবুল খায়ের , গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, রশিদুল হাসান, ড. ফয়জুল মহী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডাক্তার গোলাম মুর্তজা। এদের প্রত্যেককে আশরাফুজ্জামান নিজে গুলি করে হত্যা করেছিল বলে জবানবন্দী দেয় মফিজুদ্দিন। ডায়েরির অন্যান্য পাতায় দালাল বুদ্বিজীবিদের নামের পাশাপাশি আল-বদরের হাই কমান্ডের নামের তালিকা ছিলো। এতে মঈনউদ্দিন ছাড়াও ছিল কেন্দ্রীয় কমান্ড সদস্য শওকত ইমরান ও ঢাকা শহরপ্রধান শামসুল হকের নাম।…

তথ্যঃ Omi Rahaman pial






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*