কঠিন সময়ে আ’লীগের হাল ধরা বঙ্গতাজ পত্নী জোহরা তাজউদ্দীন’র মৃত্যুবার্ষিকী আজ
মোহাম্মদ হাসানঃ আজ ২০ ডিসেম্বর বঙ্গতাজপত্নী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। জাতীয় চার নেতার অন্যতম বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীদ আহমদের সহধর্মিণী। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মী, সেখান থেকে নিজের মেধা, যোগ্যতা ও নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় কাণ্ডারী হয়ে হাল ধরেছিলেন দলের। সর্বপরি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন তিনি।
২০১৩ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীর এই দিনে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বিভ্রান্ত আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন জোহরা তাজউদ্দীন।
অনেক বড় বড় নেতাই তখন ঘরের দুয়ার খুলে পথে নামেননি। এর বিপরীতে লোকদেখানো দায় সারেননি জোহরা তাজউদ্দীন।
দলে ঐক্য ফেরানোর তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এক অনিবার্য পরিণতির মতই যেন কাণ্ডারী হয়ে স্বজনের রক্তেভেজা দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।নিভৃতচারী ছিলেন আর ছিলেন এক গভীর দায়িত্ববোধে তাড়িত। বয়সকে বাধা মানেননি, দলকে গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্বদানের যোগ্য করে তুলতে গভীর মমতায় পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সহযোগিতা করে গেছেন তিনি।
কোন বাধাই অনতিক্রম্য নয়, যদি লক্ষ্য থাকে অটুট! জরা তো নয়ই, মরণব্যাধিও বিচ্যুতি ঘটায় না কর্তব্যনিষ্ঠায়! এই মহৎ বার্তাই জাতিকে দিয়ে গেছেন জোহরা তাজউদ্দীন ও জাহানারা ইমাম।
পঁচাত্তর-পরবর্তী বিভ্রান্ত আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন জোহরা তাজউদ্দীন। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং কারাগারে নির্মম হত্যাযজ্ঞে প্রাণহারানো চার জাতীয় নেতার একজন- তাজউদ্দীন আহমদের সহধর্মিনী ছিলেন তিনি। দলে ঐক্য ফেরানোর তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এক অনিবার্য পরিণতির মতই যেন কাণ্ডারি হয়ে স্বজনের রক্তেভেজা স্বদেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। হাল ধরেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।
অনেক বড় বড় নেতাই তখন ঘরের দোর খুলে পথে নামেননি। এর বিপরীতে লোকদেখানো দায় সারেননি জোহরা তাজউদ্দীন। নিভৃতচারী ছিলেন আর ছিলেন এক গভীর দায়িত্ববোধে তাড়িত। বয়সকে বাধা মানেননি, দলকে গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্বদানের যোগ্য করে তুলতে গভীর মমতায় পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সহযোগিতা করে গেছেন। সংকটে জুগিয়ে গেছেন এগিয়ে যাবার সাহস। সেনাছাউনি থেকে বেপথু বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে সেই সাহসই জাতির মর্মমূলে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
স্বৈরশাসনের অবসান ঘটলেও তখন চলছে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাতের আঁতাতে দানব হয়ে ওঠা বিএনপির অপশাসন। যুগসন্ধিক্ষণে এক চরম প্রশ্নের মুখে যখন বাংলাদেশ, ‘প্রিয় খালাম্মা’র পাশে তখন বলিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এক অভূতপূর্ব জাতিগত জাগরণের সেই সূচনাপর্বে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা পুনর্প্রতিষ্ঠায় সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশেনা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাই।
বিস্মৃতিপ্রবণ জাতির চেতনায় সুগন্ধি ধূপের মতো সুবাস ছড়িয়ে বাংলাদেশকে যেন প্রবলভাবে বাঁচিয়ে তুলেছিলেন জোহরা তাজউদ্দীন ও জাহানারা ইমাম।আর গণমানুষের মনস্তত্ত্বে এই দুই মহীয়সীর তোলা সেই আলোড়ন বাস্তব প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে সফল পরিণতি পেয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে। আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের এ যেন গভীর গোপণ এক সমীকরণ! কালের স্রোতে মানবমুক্তির সাহসীবার্তার স্বর্ণপ্রসবিনী এক পরিভ্রমণ!