প্রাণের ৭১

জনগণের পুলিশ চাই: শেখ হাসিনা

মোহাম্মদ হাসান: পুলিশ বাহিনীকে ‘জনগণের পুলিশ’ হওয়ার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে যে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব।

৩ জানুয়ারি ২০২১ সকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৭তম বিসিএস কর্মকর্তাদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সরকার প্রধান। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৭২ সালে পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাষণ উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা মেনে চলতে হবে। আজ তোমরা যে শপথ নিয়েছো তা পালন করতে হবে। জনগণের পুলিশ হতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশকে মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। তাহলে আর সংখ্যার প্রয়োজন হবে না। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই যে কোনো অপরাধ দমন করা যাবে।

‘পুলিশের দায়িত্ব অনেক। শৃঙ্খলা-পেশাদারিত্ব নিয়েই পুলিশকে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানুষের সেবা করাটাই কর্তব্য। তাই মানুষের আস্থা ভালোবাসা অর্জন করতে নিরলস কাজ করতে হবে।’

পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের সেবা করা, মানুষের জীবনমান উন্নত করা এই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সেদিকে আমাদের পুলিশ বাহিনী যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছে।

‘শুধু দেশেই না আমরা এখন বিদেশে পাঠিয়েও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রশিক্ষণটা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কাজেই এটা অব্যাহত রাখা দরকার।’

এই অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারার আক্ষেপও শোনা যায় তার কণ্ঠে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রথম সরকারে থাকার পরও আসতে পারলাম না। করোনাভাইরাসের জন্যই বন্দিজীবন কাটাতে হচ্ছে।’

পুলিশের চিকিৎসায় বিশেষায়িত একটি ইউনিট রাখার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি চিন্তা করি আমাদের পুলিশে আলাদাভাবে একটা মেডিকেল ইউনিট গঠন করা একান্তভাবে দরকার।

‘তাদের নিজস্ব একটা ইউনিট থাকুক, যারা অন্তত এই চিকিৎসা সেবাটা দেখবে। এছাড়া ঢাকার বাহিরেও বিভিন্ন পুলিশ হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত ও আধুনিক করা এবং সে ব্যাপারেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি বিভাগ ও জেলাগুলোতে।’

ধাপে ধাপে দেশের প্রতিটি থানা উন্নত করার কাজও চলমান রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘থানাগুলোর অবস্থা অত্যন্ত জরাজীর্ণ ছিল। প্রত্যেকটা থানা আমরা উন্নত মানের করে দিচ্ছি। তাদের অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, তাদের থাকা, অফিসারদের থাকার জন্য জায়গা, পুলিশ সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থা সবগুলি যেন ভালোভাবে হয়, আমরা সে ব্যবস্থাটাও করে দিতে চাচ্ছি।’

প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধ দমনে পুলিশের কার্যকর ভূমিকাও চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে নানা রকমের অপরাধও সংগঠিত হয়। সেগুলোও আমাদের দমন করতে হবে।

‘সাধারণভাবে যেমন গুজব রটানো বা এ ধরনের কাজ যাতে কেউ করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।’






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*