চসিক নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি ব্যাবধানে নৌকা এগিয়ে
মোহাম্মদ হাসানঃ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬৯টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৮৭২ ভোট। অপরদিকে বিএনপির (ধানের শীষ প্রতীক) মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ১৮ হাজার পাঁচ ভোট।
নানান গুঞ্জন শংকা নিয়ে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের দিন শুরু থেকে কিছু কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, গোলাগুলি, ইভিএম ভাংচুরসহ নানা ঘটন-অঘটন হতাহতের ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৮০ হাজার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি দলটি।
নিজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, সুন্দরভাবে ভোট দিয়েছি।মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসছেন। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।সারাদিন সুষ্ঠু ভোট হবে বলে আশা করি।
ভোট গ্রহণ শেষে শেষে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমরা আশা করেছিলাম একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবো। কিন্তু আজকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন হয়নি, নির্বাচন হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার ও ধানের শীষের এজেন্টরা পুলিশের কাছে অসহায় ছিল। আজকের নির্বাচন নির্যাতনে পরিণত হয়েছে। এ অনির্বাচত সরকারের ভোট ডাকতির ইতিহাস চসিক নির্বাচনের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়। চসিক’র সব কেন্দ্রে এবারই প্রথমবার ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট অনুষ্ঠিত হয়। একদিন আগেই প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে নতুন পদ্ধতির এ ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেখাতে ‘মক ভোটিং’-এর ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চসিক নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৭৩৫ প্রিসাইডিং অফিসার, চার হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার। এছাড়া অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হিসেবে ১৬ হাজার ১৬৩ ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
নির্বাচনের জন্য ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্র এবং চার হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়। এসব কেন্দ্রের জন্য প্রায় ১৬ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূড়ান্ত করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে প্রিসাইডিং অফিসাররা নিজ নিজ কেন্দ্রের জন্য ৭০ ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী গ্রহণ করেন