আল জাজিরাতে দেখানো ডিএইচএল এর রিসিপ্টটি মিথ্যা প্রমাণিত
আল-জাজিরার তথ্যচিত্রটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে ভরপুর। তেমনি একটি মিথ্যা ডকুমেন্ট ডিএইচএল এর রিসিপ্ট টি।
সুইজারল্যান্ডে অবস্থানরত সাংবাদিক অমি রহমান পিয়াল এর তদন্তে তা বেরিয়ে এসেছে। নিচে সামাজিক মাধ্যমে তার দেওয়া প্রামান্য তথ্যটি হুবহু তুলে দেওয়া হল।-
চ্যালেঞ্জ দিতেছে খালি- প্রমাণ দেন আল জাজিরা মিথ্যা বলছে! হাজারো প্রমাণ না, একটা দিমু। আল জাজিরা তাদের তথ্যচিত্রে ডিএইচএলের একটা ছবি ব্যবহার করছে। একটা রিসিপ্টের ছবি। যদিও রিসিপ্টের উপরে ১৮ মার্চ ২০১৯ লেখা, ধরে নিতেছি এটা কোনো ইনকোয়ারির জবাব। তো সেইখানে তাদের শিপমেন্ট নম্বর 1494602955, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ বেলা ১১-৫৫তে বুদাপেস্ট হাঙ্গেরির ঠিকানায় ডেলিভারি দেয়া হইছে।
তো রিসিপ্টের নিচে additional shipment details দেয়া। সেখানে বলা হইছে প্রেরক মেজর সামিউর রশীদ, আর তার ঠিকানা দেওয়া হইছে। সেখানে আরো দেয়া আছে কয়টার সময় প্যাকেজটা পিকাপ করা হইছে। সেখানে লেখা ১১ জানুয়ারি ২০১৫, বেলা ১২-৪৬ এ এটা পাঠানোর জন্য জমা দেয়া হইছে। তো জাজিরার দাবি বিজিবির ওই মেজর সামিউর রশীদ ওই প্যাকেজে করে ভুয়া কাগজপত্র পাঠাইছে বুদাপেস্টে।
ডিএইচএলের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ফেভার হিসেবে আমি ওইদিন ঢাকা থেকে পাঠানো সব পার্সেলের লগটা চাইছি। উনি ৯ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখের লগ আমারে দিছেন। আমি এখানে ১১ জানুয়ারি ২০১৫ ঘড়ির ০০-০১ থেকে রাত ২৩-৫৯ পর্যন্ত প্রায় ২৪ ঘন্টার লগ তুলে দিতেছি তিনটা ছবিতে।
ছবির বা দিকে আছে প্রথমে শিপমেন্ট আইডি, তারপর কলামে কোথা থেকে যাচ্ছে ঢাকার কোড DAC, তারপর কলামে কোথায় যাচ্ছে বুদাপেস্ট হইলে দেখাবে BUD, একটা আছে BOD, ওইটা ফ্রান্সের বোর্দোর কোড। তারপরের কলামে কোন তারিখে কয়টার সময় প্যাকেট জমা দেয়া হইছে তার বিবরণ, তারপর প্রেরকের নাম, একাউন্ট নম্বর, তারপর প্রাপকের নাম। না পাইলাম শিপমেন্ট আইডির মিল, না পাইলাম প্রেরকের নামের লগে কারো মিল, ওই সময়ের কয়েক মিনিট আগে আর পরে ব্রিটিশ কাউন্সিল আর ডাচ বাংলার দুইটা প্যাকেজের উল্লেখ পাইলাম খালি।
এইযে ফটোশপ দিয়া ছবি বানায়া দুইনম্বরি, এইডি দিয়া আল জাজিরা আর্মি চিফরে ফাঁসাইতে চাইছে। আমি দিলাম ডিএইচএলের অরিজিনাল ডাটা। একসেস থাকলে প্রমাণ করেন আমি মিথ্যা বলতেছি, নাইলে স্বীকার করে নেন আল জাজিরা মিথ্যাবাদী…
#আমরা_প্রধানমন্ত্রীর_লোক
@Omi rahman pial