লেখক মুশতাকের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ ১৩ দূত
কারাগারে আটক অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ কীভাবে মারা গেলেন তা খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ঢাকায় নিযুক্ত ১৩ জন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এক যৌথ বিবৃতিতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, মুশতাক আহমেদ গত বছরের ৫ই মে থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে বিচারাধীন মামলায় আটক ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছে। যার ফলে কারান্তরীণ অবস্থায় তার উপযুক্ত চিকিৎসা প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের প্রবিধান এবং এর প্রয়োগ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের স্ব স্ব রাষ্ট্রের বৃহত্তর উদ্বেগের প্রেক্ষিতে আমরা বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। পাশাপাশি এই আইনের গ্রহণযোগ্যতা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং এর স্ট্যান্ডার্ড মানা থেকে বাংলাদেশে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার সঙ্গে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সামঞ্জস্যতার প্রশ্নেও আমরা আমাদের উদ্বেগ অব্যাহত রাখছি। রাষ্ট্রদূতগণ মুশতাকের পরিবার ও তার বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিবৃতিতে সই করেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক, কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনওয়ে প্রিফন্টেইনার, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি স্ট্রাপ পিটারসন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন ম্যারিন স্কো, জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেন হল্টজ, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ইস্পেন রিকটার ভেনডেনসেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রানসিসকো ডি আসিস ভেনিতেজ সালাস, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
voa