আইপিএলে খেলতে দেশ ছাড়ছেন সাকিব
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলতে আজ ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ভারতে পৌঁছে কলকাতার সাথে অনুশীলনের আগে সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন সাকিব। আগামী ১১ এপ্রিল নিজেদের প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে খেলতে নামবে কলকাতা।
তবে ২৮ মার্চ দেশ ছাড়ার কথা ছিলো সাকিবের। কিন্তু একদিন আগেই ভারতে পৌঁছানোর সিদ্বান্ত নিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে লাইভে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকদের বিপক্ষে সমালোচনা করার কারনে সাম্প্রতিক শিরোনামে রয়েছেন সাকিব।
আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ থাকার কারনে গেল বছর আইপিএলে খেলতে পারেননি সাকিব। তাই এবারের আইপিএল স্মরনীয় করে রাখতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
ভারতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আইপিএলে নিজের প্রস্তুতি সাড়তে চান সাকিব। আইপিএলে খেলার অনুমতি চেয়ে বিসিবির আবেদন পত্রে সেটিই উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
আইপিএল চলাকালীনই শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। তাই স্বাভাবিকভাবেই টেস্ট সিরিজটি মিস করবেন সাকিব।
আইপিএল খেলতে সাকিবকে এনওসি দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান আকরাম খান ‘সাকিব টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান না’ বলে মন্তব্য করায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়। এমন মন্তব্যের পর সাকিবের সমালোচনায় মেতে উঠেন ক্রিকেট সমর্থক ও বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু সাকিব জানান, টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান না, এমন কথা তিনি বলেননি। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো প্রস্তুতির জন্য আইপিএলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
ফেসবুকে লাইভ শোতে সাকিব জানান, আকরাম খান সম্ভবত সঠিকভাবে তার চিঠিটি পড়েননি। প্রকাশ্যে নেতিবাচক মন্তব্য করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছেন। এছাড়া বোর্ডের বেশ কিছু ডিরেক্টরদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্নও তুলেন তিনি।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় আকরাম খান জানান, যদি সে শ্রীলংকায় টেস্ট সিরিজ খেলতে চান, তবে সাকিবের এনওসি পুর্নবিবেচনা করা হবে।
পরিস্থিতি ধীরে-ধীরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে আসেন সাকিব। আইপিএলকে সামনে রেখে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু করেন তিনি।
আগামী ১৮ মে পর্যন্ত সাকিবের এনওসির মেয়াদ আছে। আশা করা হচ্ছে, শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নিবেন তিনি। যা ২০ মে থেকে শুরু হবে।