প্রাণের ৭১

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত’র সভাপতি বাহাদুর শাহ’’র নেতৃত্বে ৭১১ আলেমের বিবৃতি

মোহাম্মদ হাসানঃ বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর সভাপতি ও ইমামে রাব্বানী দরবার শরীফের পীর সাহেব আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী’র নেতৃত্বে ৭১১ জন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও পীর মাশায়েখ এক যুক্ত বিবৃতিতে জঙ্গিবাদ, উগ্রপন্থা ও ধর্মীয় ছদ্মাবরণে দেশবিরোধী সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে সরকারের আশু পদক্ষেপ দাবি করেছেন।

ওলামা মাশায়েখরা বলেন, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট ও জানমালের ক্ষতির দায়ে ধর্মীয় পরিচিতির ছদ্মাবরণে হেফাজত, কওমি ও সালাফিবাদীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিচারে সোপর্দ করতে হবে। উগ্রপন্থা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের সাথে দীন ঈমান ও ইসলামের ন্যুনতম কোনো সম্পর্ক নাই। দেশের সরলপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে যারা দেশের জানমালের ক্ষতি ও উগ্রপন্থা ছড়িয়ে শিশু কিশোর যুবশ্রেণীর মন মগজে দেশবিরোধী চিন্তা ধারণা ইজমের চাষ করে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্ধকারে ঢেকে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়া ঈদগাহ ট্রাজেডিতে যেভাবে উগ্রপন্থী সালাফিবাদীদের ইন্ধন ছিলো, ঠিক তেমনি সম্প্রতি দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিদেশি মেহমানদের উপস্থিতিকে ইস্যু বানিয়ে কওমি খারেজী মাদ্রাসার প্রত্যক্ষ আশ্রয় প্রশ্রয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় তান্ডবলীলা চালানো হয়েছে। এদের ব্যাপারে শান্তিবাদী ও ইসলামের মূলধারার সুফিপন্থী হক্কানী আলেম পীর মাশায়েখরা বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত করেছে। সরকার দুধকলা দিয়ে যে সাপ পুষেছে তার মাশুল আজ সমগ্র জাতিকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে দেশের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে হেফাজত নামধারী জঙ্গি গুরুরা আজ হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার নাটক করছে। অর্থের লোভ, নারী কেলেঙ্কারি ও শিশু নির্যাতনের হেন কাজ নেই যা এরা করেনি।

এসব বাজে কাজের মাধ্যমে তারা পবিত্র ইসলামকে কলঙ্কিত ও বিশ্ববাসীর কাছে নেতিবাচক উপস্থাপন করেছে। হেফাজতের নেতারা কমিটি বিলুপ্তির নাটক করে তাদের অপরাধ আড়াল করতে পারবে না। পীর ওলামা মাশায়েখগণ অবিলম্বে দেশে এ যাবৎ জঙ্গি হামলা ও দেশ ধ্বংসের তান্ডবলীলা পরিচালনা কারী সালাফিবাদী ও কওমী মোল্লাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জোরদাবী জানিয়েছেন। সাথে সাথে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের মতো সালাফিবাদের ছদ্মবরণে জঙ্গি সংগঠনগুলো ও হেফাজতের নামকরণে উগ্রপন্থী প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ সকল কওমি মাদ্রাসায় সরকারের মনিটরিংয়ের জন্য ওয়াচসেল গঠন করতে দাবি জানান।

আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর নেতৃত্বে বিবৃতিদাতারা হলেন, শুকছড়ি দরবার শরীফের পীরে তরীকত আল্লামা সৈয়দ নাছেরুল হক চিশতী, ঘনিয়া দরবার শরীফের পীর আল্লামা হাফেজ জোনায়েদুল হক নকশেবন্দী, শাঈখুল হাদীস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, গাছতলা দরবার শরীফের পীর আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, হেলালীয়া হাক্কানী আঞ্জুমান দরবার শরীফের পীর আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী, মগবাজার দরবার শরীফের পীর আল্লামা হাবিবুল্লাহ আল কাদেরী, চান্দ্রা দরবার শরীফের পীর আল্লামা হুজ্জত উল্লাহ নকশেবন্দী, জিয়াউল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন যুক্তিবাদী, নেছারীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা রফিক উদ্দিন সিদ্দিকী,আল্লামা এনামুল হক সিকদার, মুফতি কামাল উদ্দিন আজহারী, অধ্যক্ষ কারী আবু তৈয়ব, অধ্যক্ষ আল্লামা ফখরুল ইসলাম আবেদী, উপাধ্যক্ষ সাইদুল আলম খাকী, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকের আহমদ ছিদ্দিকী, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন তৈয়বী, অধ্যক্ষ কাজী আবদুল হান্নান, অধ্যক্ষ ফারুক হোসাইন, অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ ফারুকী, অধ্যক্ষ সৈয়দ আইয়ুব বদরী, অধ্যক্ষ আল্লামা এবিএম মনছুর মোল্লা, পীরজাদা নাজমুল হক আখন্দ নকশেবন্দী, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আলী নকশেবন্দী, অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম আবেদী, মাওলানা আবুল হাশেম মিয়াজী, মাওলানা কাজী মাহমুদুল হক, অধ্যক্ষ সৈয়দ আবু ছালেহ, মাওলানা কাজী মফিজুর রহমান, মুফতি হেলাল উদ্দিন আলকাদেরী, মুফতী রফিকুল ইসলাম হেলালী, মুহাদ্দিস নিজাম উদ্দীন নোমানী, আল্লামা এনামুল হক সিকদার, মুফতি মাসুম বিল্লাহ হানাফী, অধ্যাপক আল্লামা শায়খ এমদাদুল হক, মুফতী বদরুর রেজা সেলিম, মাওঃ খাজা মঈন উদ্দিন আহমেদ জালালাবাদী, মাওঃ রফিকুল ইসলাম জাফরী, মাওলানা হাসানুর রহমান হোসাইনী নকশেবন্দী প্রমুখসহ মোট ৭১১ জন ওলামা মাশায়েখবৃন্দ।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*