২ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকিঃ চট্টগ্রামে যে কাজ করলো বিদ্যুৎ বিভাগ!
চট্টগ্রামে দীর্ঘ দিন ব্যাবহারিত বিদ্যুৎতের প্রিপেইড মিটার হঠাৎ রিচার্জ হচ্ছে না, গ্রাহক বিদুৎ অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারলেন বিদুৎ বিল বাকি। ঠিক কত টাকা বিদুৎ বিল বাকি তা জানতে পেরে অবাক অবাক হয়ে চট্টগ্রাম PDB গ্রাহক সিহাব রিংকু সামাজিক মাধ্যমে মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। স্টার্টাস টি হুবহু দেওয়া হলো…… বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । ভাবতে ভালোই লাগে । দেশে এখন ডিজিটালাইজেশনের মহোৎসব চলছে । পিছিয়ে নেই বিদ্যুৎ বিভাগও । এরই ধারাবাহিকতায় প্রি পেইড মিটারের আবির্ভাব । চার বছর হলো প্রি পেইড মিটার ব্যবহার করছি । চার বছর পর আমার একজন সম্মানিত ভাড়াটিয়া মিটারে কার্ড রিচার্জ করতে গিয়ে দেখে রিচার্জ হচ্ছে না । অতপর অফিসে যোগাযোগ । বলল আমার মিটারে বকেয়া রয়েছে । ভাড়াটিয়া আমাকে জানানোর পর আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল । আমরা যে যাই বলি দিনশেষে সরকারি অফিসে আমরা বড়ই অসহায় । অতপর দুরু দুরু বুকে অফিসে গেলাম । গিয়ে রিচার্জ না হওয়ার কারন কম্পিউটারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখি সত্যিই বিল বাকি ! অপারেটরকে বললাম কত টাকা ? বলল ২ (দুই টাকা) । অবাক হয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলাম, দুইটা বিল ? বলল না, ২ (দুই টাকা) ! কিছুটা হতবাক, কিছুটা স্বস্তি নিয়ে ২ (দুই টাকার) বিল তৈরি করে ব্যাংকে জমা দিলাম । বিলে দেখলাম কোন এক সময় ভ্যাট নিতে গিয়ে তারা আমার থেকে ২ (দুই টাকা) কম নিয়েছিল ! বুঝলাম না দোষটা কার ছিল ? তবে কৃতজ্ঞতায় তাদের প্রতি মাথা নোয়াতে ইচ্ছা করল । তারা চাইলে আমাকে বিল খেলাপির তালিকায় ফেলতে পারত । কিংবা এই ২ (দুই টাকা) সুধে আসলে ২০০০০০(দুই লক্ষ) টাকাও হতে পারত । ভাগ্যিস এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম । আর মনে মনে ভাবলাম ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে এক চুলও ছাড় নয় ! বড়ই কড়া আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগ । আহ্ যদি কোন একদিন সড়কে জ্বলা সবগুলো ল্যাম্পপোস্ট একসাথে করে বিদ্যুৎ অফিসগুলোতে জ্বালাতে পারতাম তবে কেবল ২,৩ টাকা নয়, মানুষের কাছে পাওনা ২,৩ পয়সাও খুঁজে বের করতে পারতাম । সাথে হয়ত বিদ্যুৎ অফিসে জমে থাকা শত বছরের অনেক ময়লাও খুঁজে পেতাম ।।।।।।