প্রাণের ৭১

তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবান বিদ্রোহীদের স্বীকৃতি দেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শুক্রবার (২১ আগস্ট) ইইউ কমিশন সভাপতি উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেন, গোষ্ঠীটির সঙ্গে তারা কোনো রাজনৈতিক আলাপও করছে না।

তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন

রোববার (১৫ আগস্ট) বিদ্যুৎগতিতে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। রাজধানীতে হেঁটে প্রবেশ করতে তাদের একটি গুলিও ছুড়তে হয়নি।

 

কাবুল থেকে নিয়ে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আফগানকর্মীদের অভ্যর্থনা কেন্দ্র ভ্রমণের সময় ইইউ’র প্রধান নির্বাহী এমন মন্তব্য করেছেন।-খবর রয়টার্সের

 

উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেন, আফগানিস্তানের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়িয়ে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। মানবাধিকার, সংখ্যালঘুদের প্রতি ন্যায্য আচরণ এবং নারী ও শিশুদের অধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নয়ন সহায়তা বিতরণ করা হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে এই নারী বলেন, আমরা অবশ্যই তালেবানের প্রতিশ্রুতি শুনব। কিন্তু সবকিছুর ওপরে তাদের পদক্ষেপ ও কার্যক্রমও পর্যালোচনা করব। শরণার্থীদের পুনর্বাসনে সাহায্য করা ইউরোপীয় দেশগুলোকে সহায়তা দিতে কমিশন প্রস্তুত বলেও তিনি জানিয়েছেন।

 

মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সব প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তালেবানের হাতে। যদিও সাবেক আফগান সরকারের হাতে ব্যাপক মার্কিন তহবিল ও সামরিক সরঞ্জামাদি ছিল। আশরাফ গনি সরকারের হাতে বিমান বাহিনী ও বিশেষ কমান্ডো ইউনিটসও ছিল।

 

আফগান সামরিক বাহিনী ও পুলিশ ইউনিটসের অস্ত্রাগার জব্দ করেছে তালেবান। যার মধ্যে মার্কিন নির্মিত অস্ত্র ও সাঁজোয়া যানও রয়েছে। তালেবানের বিজয়ে লজ্জিত হওয়ার পর তালেবান শাসনের বিরুদ্ধে নতুন করে তহবিল সরবরাহের ইচ্ছা নেই পশ্চিমাদের।

 

এদিকে সশস্ত্র আফগান যোদ্ধাদের কয়েকটি গোষ্ঠী তালেবানের ওপর হামলা করে উত্তরাঞ্চলীয় তিনটি জেলা থেকে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। গত সপ্তাহে তালেবানের হাতে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার পর এই প্রথম কোনো আঘাত এসে পড়েছে তাদের ওপর।

 

স্থানীয় তালেবানবিরোধী কমান্ডাররা দাবি করেন, শুক্রবারের (২০ আগস্ট) লড়াইয়ে তারা ত্রিশের বেশি তালেবান যোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। এছাড়া আরও ২০ জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাগলান প্রদেশের তিনটি জেলার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।

 

প্রদেশটি রাজধানী কাবুল থেকে ১০০ মাইল উত্তরে অবস্থিত। সাবেক আফগান সরকারের সেনারাও তালেবানবিরোধী লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, সরকারি ভবনগুলোতে তালেবানের সাদা পতাকার বদলে আফগান সরকারের লাল, সবুজ ও কালো রঙের জাতীয় পতাকা উড়ছে।

 

লড়াইয়ে অংশ নেওয়া আফগান সরকারের সাবেক যোদ্ধা সাদিকুল্লাহ সুজা বলেন, আমরা এমন কিছু জ্বালিয়ে দিয়েছে, আফগানিস্তানে যা ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে। তালেবান যোদ্ধাদের সাঁজোয়া যান আছে। কিন্তু লোকজন পাথর ছুড়ে তালেবানকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

 

তিনি বলেন, আমরা জীবিত থাকতে তালেবানের শাসন মেনে নেব না।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*