ফরাসী সিভিল এভিয়েশন বাংলাদেশের বিমান বন্দরের কার্যক্রমে সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও সেবার মান দেখভালের (অডিট) পাশাপাশি উড়োজাহাজের উড্ডয়নযোগ্যতার নিশ্চয়তা দেওয়ার কাজ করবে ফরাসি সিভিল এভিয়েশন।
একই সঙ্গে ফ্রান্সের এ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এদেশের বিমানবন্দরের কর্মীদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণও দেবে।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এসব বিষয়ে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন অব ফ্রান্সের গত বছর সই হওয়া কারিগরি সহায়তা চুক্তির ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গত বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরে যেসব চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল তার মধ্যে বিমান চলাচল সংক্রান্ত ওই চুক্তিটিও ছিল।
ওই চুক্তির আওতায় বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষেদ সচিব বলেন, “এরমধ্যে এয়ার নেভিগেশন চুক্তি, বেসামরিক বিমান উড্ডয়ন ও রক্ষণ পরিকল্পনার বিষয়ে চুক্তি থাকবে। এয়ারপোর্টের ব্যবস্থাপনাতে এক দেশ আরেক দেশের কাছ থেকে কোঅপারেশন নেবে।
“উড়োজাহাজগুলো উড্ডয়নযোগ্য কি না, মানে এটা উড়তে পারবে কি না, এটার স্ট্যান্ডার্ড, সার্টিফিকেশনও তারা দেবে। বেসামরিক বিমানের সুরক্ষিত উড্ডয়নের ব্যবস্থাপনা মনিটরিং করবে, মানে আমাদের এয়ারপোর্টগুলোতে যে মনিটরিং সিস্টেম আছে সেগুলো তারা ‘ইন্টারনাল অডিট’ করবে।“
কোভিড, পানি ও বিমান চলাচল খাতে ফ্রান্সের সঙ্গে তিন চুক্তি
তিনি বলেন, “বিষয়টি টাকা পয়সার অডিট না, ফেসিলিটিজে কেমন। হয়তো হঠাৎ করে এমন একটা জিনিস ওরা পাঠাবে যেটা এখানে নিষিদ্ধ। তারা হয়তো তাদের অ্যাম্বেসিকে বলবে, তোমরা উপস্থিত থেকো আমরা কিন্তু একটা নিষিদ্ধ বস্তু নিয়ে আসতেছি। নট দ্যাট যে তারা এখানে চোরাচালান করতে আসতেছে। অডিট করতে আসতেছে, যে বাংলাদেশের সিকিউরিটি সিস্টেমটা কেমন। “ওই নিষিদ্ধ বস্তু যদি বিমানবন্দর থেকে পার হয়ে বাইরে চলে যায় তখন তারা এসে বলবে দেখ আমরা কেমন পার হয়ে এলাম, তোমাদের সেইফটি-সিকিউরিটি সিস্টেম ইজ নট গুড।”
সচিব বলেন, “এছাড়া তারা বেসামরিক বিমান পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারিগরি জ্ঞান বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দেবে। ফ্রান্সের সিভিল এভিয়েশন থেকে আমাদের লোকেরা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করে আসতে পারবে। ফ্রান্সের সিভিল এভিয়েশন তো খুবই আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করছে।
“আপনারা যারা গেছেন তারা বলতে পারবেন। আপনাকে কেউ কিছু জিজ্ঞেসও করবে না। কিন্তু খুবই কঠোরভাবে নজরদারি করা হয়। এমনভাবে স্ক্রিনিং করবে যাতে কোনও কিছু লুকিয়ে বের হওয়া যায় না। আমাদেরকেও তারা ওই রকমের সক্ষমতা দেবে।”