প্রাণের ৭১

বাংলাদেশে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে পুরষ্কার ঘোষণা পুলিশের

সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর অগ্নি সংযোগের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

এর আগে রোববার নাশকতাকারীদের ধরতে রোববার থেকে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে, এবং নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে পুরষ্কার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মি. রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “যেভাবে মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ের মতো স্থাপনায় ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে, বিটিভিতে হামলা চালিয়েছে, পুলিশদের হত্যা করেছে – এমন প্রত্যেকটি ঘটনায় মামলা হবে।”

তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

“যারা সহিংসতায় সরাসরি যোগ দিয়েছে, যারা ইন্ধন যুগিয়েছে, যারা অর্থ সহায়তা দিয়েছে, অস্ত্র-লাঠিসোটা সরবরাহ করেছে সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।“

Smoke rises from the burning vehicles

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,সহিংসতার সময় রাজধানীতে বহু গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

তিনি আরো বলেছেন, “যেসব তাণ্ডব চালানো হয়েছে এর কোনটাই শিক্ষার্থীরা করেনি। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে এমন হামলা ভাঙচুর করেছে। জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।”

তবে এখন পর্যন্ত কয়টি মামলা দায়ের হয়েছে, বা কতজনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে – সে বিষয়ে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মি. রশিদ বিস্তারিত তথ্য দেননি।

এদিকে, রোববার পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ধ্বংসযজ্ঞে জড়িত নাশকতাকারীদের ধরতে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।

রোববার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। এছাড়া, নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে পুরষ্কার দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। “এজন্য তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখা হবে,“ বলেন তিনি।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*