প্রাণের ৭১

জাপানের মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ৬ জনের মৃত্যু: মিডিয়া

এই বছর ভূমিকম্প থেকে উদ্ধার হওয়া জাপানের উপদ্বীপে ইশিকাওয়া অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রবল বর্ষণে কমপক্ষে ছয়জনের প্রাণহানি হয়েছে। টোকিও থেকে স্থানীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এ এফপি  সোমবার এ খবর জানায়।
পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে ও অন্যান্য সংবাদ সংস্থা বলেছে, ছয়জন মারা গেছে। তবে ফায়ার বিভাগের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানান একজন মারা গেছে এবং বাকী ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জাপানের সমুদ্র উপকূলে ইশিকাওয়া’র আঞ্চলিক সরকার জানিয়েছে, দুইজন নিখোঁজ এবং আটজনের অবস্থা জানা যায়নি।
শনিবার থেকে ইশিকাওয়াতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, ওয়াজিমা নগরে ৭২ ঘন্টার বেশি বৃষ্টিপাতে  হওয়ায় ৫৪০ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা ছিল তুলনামূলক এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সবচেয়ে ভারী ও অবিরাম বৃষ্টি।
অঞ্চলটি এখনো বছরের শুরুতে আঘাত হানা ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে ভবনগুলো ভেঙে পড়ে, সুনামির শুরু হলে একটি বড় ধরনের আগ্নিকান্ড ঘটায়। নববর্ষের দিন ভূমিকম্পে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য নির্মিত জরুরি আবাসন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। ইশিকাওয়া সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ওই ভূমিকম্পে ৩৭৪ জন কমপক্ষে  প্রাণ হারায়।
সোমবার, হোকুরিকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে, বৃষ্টির পর মোট ৪,০০০টি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন ছিল। ভূমিধসের কারণে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় এই অঞ্চলের শতাধিক এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রোববার ওয়াজিমাতে, নদীর উপর এক সেতুতে একটি বিশাল গাছ উপড়ে পড়ায় ভাঙা ডালপালা স্তুপ হয়ে পড়ে। সেখানে নদীর উপচে পড়া পানি প্রায় মাটির স্তরে  পৌঁছায়।
সপ্তাহান্তে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে সরে যেতে বলা হলে উদ্ধার কর্মীদের সাথে যোগ দিতে ইশিকাওয়া অঞ্চলে সামরিক কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। জরুরি সতর্কতার অধীনে থাকা অঞ্চলগুলোতে ‘নজিরবিহীন মাত্রার ভারী বৃষ্টি’ হয়েছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*