প্রাণের ৭১

অবসরের ঘোষণা দিলেন সাকিব আল হাসান

ব্যাট কিংবা বল হাতে মাঠে সময়টা ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। মাঠের বাইরেও বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে প্রায়ই থাকছেন আলোচনায়। এই মুহূর্তে ভারতে টেস্ট সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত থাকা সাকিবের নামে দেশে হয়েছে হত্যা মামলা। সব মিলিয়ে যেন নিজের শেষ দেখতে পাচ্ছিলেন এক সময়ের তিন ফরম্যাটের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। জাতীয় দলের ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন সাকিব আল হাসান। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন এক সময়ের এই নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডার। নিজেই জানিয়েছেন এই কথা।

একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার জানালেন, টি-টোয়েন্টিতে নিজের শেষ ম্যাচটা এরইমাঝে খেলে ফেলেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের বিদায়টা তিনি নেবেন ঘরের মাটি থেকেই। অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে শেষবার বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে।

অবসরের কথা জানিয়ে সাকিব প্রেস কনফারেন্সে বলেন ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি তে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি, মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট’।

যার অর্থ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটাই ছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সাকিব আল হাসানের শেষ ম্যাচ। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের আর্নস ভ্যালি স্টেডিয়ামেই বিদায় নিলেন দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই তারকা। যদিও শেষ ম্যাচটার পারফরম্যান্স সাকিব ভুলে যেতে চাইবেন প্রবলভাবে। ব্যাট হাতে প্রথম বলে আউট আর বল হাতে ১৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

টেস্ট ও টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও ওয়ানডেতে খেলা চালিয়ে যাবেন সাকিব। গুঞ্জন আছে, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে তিন ফরম্যাট থেকেই অবসরে যাবেন সাকিব। তার আগ পর্যন্ত শুধুমাত্র ওয়ানডেতে দেখা যাবে এই অলরাউন্ডারকে। তবে নিয়মিত তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকছে।

সাকিবের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। ব্যাট হাতে ২৬ রান আর বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের সাক্ষী হয়েছিলেন সাকিব। দেশের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই ছিলেন তিনি। এরপর প্রতিনিধিত্ব করেছেন টানা নয় বিশ্বকাপে। টি-টোয়েন্টিতে ১২৯ ম্যাচে ২৫৫১ রানের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট।

আর টেস্টে এখন পর্যন্ত ৭০ ম্যাচে ১২৮ ইনিংসে ব্যাট হাতে ৪৬০০ রানের পাশাপাশি বল হাতে ২৪২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*