(Untitled)
মীরসরাইয়ে পুকুরের ঘাটলা নিয়ে লঙ্কা কান্ড, আহত ২০
মীরসরাই প্রতিনিধিঃ
মীরসরাই উপজেলার ৮নং দুর্গাপুরে হাজীশ্বরাই গ্রামের পুকুরের ঘাটলা ব্যবহার নিয়ে দুই পক্ষের সশস্ত্র মারামারিতে পুরুষ মহিলা সহ অন্তঃত ২০ জন আহত হয়েছে। এক পক্ষের সদ্য নির্মান করা নতুন বসতঘর কেটে তছনছ করে প্রতিপক্ষ। উক্ত ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনগত উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানায় জোরারগঞ্জ থানা কৃর্তপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শি, হতাহত ও জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের হাজীশ্বরাই গ্রামের আসলাম বলি বাড়ীতে পুকুরের ঘাটলা নিয়ে উক্ত বিবাদ সৃষ্টি হয়। সোমবার ( ১ অক্টোবর ) বিকাল থেকে সৃষ্টি হওয়া উক্ত ঘটনায় রাত পর্যন্ত হামলা পাল্টা হামলায় মঙ্গলবার ( ২ অক্টোবর ) পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার ( ২ অক্টোবর ) এই ঘটনা নিয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ এন্ট্রি হয়।
কৃষক নুরুল ইসলাম এর বোন আঙ্কুরের নেছা বাড়ীর পেছনের পুকুর ঘাটলায় গোসল করতে গেলে সেখানে ঘাটলা ব্যবহার ও পুকুরের অংশ নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। এক পর্যায়ে মোমিন, হাসান ও কামরুল আঙ্কুরের নেছার উপর হামলা করতে গেলে দুপক্ষের সংঘাত বেধে যায়। উভয় পক্ষের লোকজন নিজ নিজ ঘর থেকে লাঠিসোটা, দা, ছুরি, কিরিছ, কুড়াল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়লে এসময় জখম হয় যথাক্রমে আঙ্কুরের নেছা ( ৫৫), বিবি খতিজা ( ৩৫), রাজু ( ৪০), কলেজ ছাত্র রেজাউল করিম নয়ন ( ২০), করিম ( ৩২), আমজাদ ( ৩২), শহীদ ( ২৫), রোজিনা ( ৩২), পারভিন ( ৪৫), মোমিন ( ৩২), গিয়াস উদ্দিন ( ৩২) হাসান ( ৩০) সহ অন্তঃত ২০ জন। আহতদের মধ্যে আঙ্কুরের নেছা ও বিবি খতিজাকে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর পক্ষের হাসান কে ও চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানায়। মারামারির এক পর্যায়ে পরস্পর রক্তাক্ত হতাহতদের নিয়ে যখন হাসপাতালে যাচ্ছিল তখন একপক্ষ কৃষক নুরুল ইসলাম এর সদ্য নির্মান করা বেড়া ও টিনের কাঁচা নতুন ঘরটি দা ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তছনছ করে ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়।
ঘরের গৃহিনী ইয়াসমিন আক্তার (৪৫) অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে আমি ক্যান্সার রোগী, এই অসুস্থ শরীরে ভর করে ৭টি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে এই ঘরটির কাজ কদিন আগে শেষ করেছি। আমার ঘরটা এভাবে ওরা টুকরো টুকরো করে কেটে ফেললো, এর বিচার চাই আমি।
জোরারগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবেদ আলী জানান ইতিমধ্যে এসআই আলমগীর সহ একদল পুলিশ উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছে। এই বিষয়ে একটি অভিযোগ ও এন্ট্রি হয়েছে, সকল বিষয় তদন্ত শেষে আইনগত সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছুফিয়ান বিপ্লব ও ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিন জানায় এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত । এই বিষয়ে সামাজিক সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে নচেৎ আইনি উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান।