রোহিঙ্গা গণহত্যা: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় কানাডার সমর্থন
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার করা মামলায় সমর্থন জানিয়েছে কানাডা। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিষয়টির সমাধানে সমমনা অন্য দেশগুলোকে নিয়ে কাজ করবে। অপরাধীদের বিচারে সহায়তার কথাও জানিয়েছে কানাডা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য কানাডিয়ান প্রেস বুধবার জানায়, এক বিবৃতিতে কানাডীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছেন, মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টিতে কানাডার সমর্থন রয়েছে? এ বিষয়ে কীভাবে পূর্ণ সহায়তা প্রদান করা যায়, সেই পথ খুঁজছে কানাডা।
গাম্বিয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টির আইনি সমাধানের জন্য সমমনা দেশগুলোকে নিয়ে কাজ করবে কানাডা। রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং মিয়ানমারে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতেও কাজ করবে।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে সোমবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সংগঠন ওআইসির (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন) পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নতুন করে নির্যাতন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাটের মুখে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ঘটনা তদন্তে ২০১৮ সালে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন গঠন করে জাতিসংঘ।
কমিশন তাদের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার জোরালো প্রমাণ তুলে ধরে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনের প্রতিবেদনকে সমর্থন জানায় কানাডার হাউস অব কমন্স। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ঠেকাতে কোনো ভূমিকা রাখতে না পারার অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেত্রী অং সান সু চিকে দেয়া সম্মানজনক নাগরিকত্বও বাতিল করে কানাডা