পূর্বাঞ্চল রেলের সাবেক জিএমসহ ১০ জনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
মোহাম্মদ হাসানঃ রেলে ৮৬৩ জন খালাসি নিয়োগের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সৈয়দ ফারুক আহম্মদসহ আরও ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। এদের মধ্যে নিয়োগ কমিটির তিন সদস্য ও নিয়োগপ্রাপ্ত তিন খালাসি এবং তিন কর্মচারী রয়েছেন। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারিতে আরও পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদক এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। যাদের কাছ থেকে নিয়োগে অনিয়মের তথ্যও পেয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদক।
এদিকে দুদক সূত্র জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতির সাথে আরও বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম ওঠে এসেছে জিজ্ঞাসাবাদকৃতদের কাছ থেকে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে যে কোন মুহূর্তে ডাকা হবে। এর বাইরেও নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের বিভিন্ন তথ্যও পাওয়া গেছে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে।
এর আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ৮৬৩ খালাসি নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ও ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২৪ জনকে তলব করে পৃথক পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। তবে ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও বাকিরা উপস্থিত হয়নি বলে জানিয়েছেন দুদক।
সর্বশেষ জিজ্ঞাসাবদ করা ১০ জনের মধ্যে সাবেক জিএম ছাড়া অন্যরা হলেন, নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, সদস্য সচিব সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) জোবেদা আক্তার ও সদস্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ট্রেক সাপ্লাইয়ার অফিসার রফিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে জিএম ফারুক আহম্মদকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি, মিজানুর রহমানকে ৯ ফেব্রুয়ারি জোবেদা আক্তারকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং রফিকুল ইসলামকে ৫ ফেব্রুয়ারিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া অন্যরা হলেন, সিসিএম’র সিআই মো. মমিনুল ইসলাম, জিএম ড্রাইভার হারাধন দত্ত, নিয়োগ প্রাপ্ত আবু বকর সিদ্দিকি, তার ভাই মো. আবিদ ইসলাম ও শ্রী সুকুমার দে।
দুদক জানায়, ৮৬৩ খালাসি নিয়োগের সময় এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের তথ্য রয়েছে দুদকের কাছে। যার জন্য দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন পৃথকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদকৃতদের কাছ থেকে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যও গ্রহণ করেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা। একই সাথে স্ত্রী-সন্তানসহ তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ব্যাংক হিসেবের তথ্য বিবরণীর তথ্য জব্দ করেন দুদক।