সহিংসতার দায়ে অমিত শাহ’র পদত্যাগ চান সোনিয়া গান্ধী
নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভেসহিংসতার দায় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
বুধবার দিল্লিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। খবর এনডিটিভির।
সোনিয়া বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কোথায়? গত একসপ্তাহ ধরে তিনি কী করছেন? চলতি সপ্তাহেই বা তিনি কোথায় ছিলেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন দেখলেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে, তখন আধা-সামরিক বাহিনী কেন ডাকলেন না?
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। কিছুতেই যেন থামছে না মৃত্যুর মিছিল।
স্বাভাবিকভাবেই দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় উপর দিল্লির আইনশৃঙ্খলার ভার। আর সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির সদ্য সাবেক সভাপতি অমিত শাহ।
সংঘর্ষ এত বড় আকার নেয়ার জন্য অমিতকে নিশানা করে সোনিয়া এ দিন বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ গোটা কেন্দ্রীয় সরকারই এর জন্য দায়ী। অমিত শাহের ইস্তফা দিন, কংগ্রেস এই দাবি করছে।’
এদিকে মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভে বেছে বেছে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার সহিংসতার তৃতীয় রাতেও বেশীরভাগ ঘটনায় মুসলিমদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৩ জন নিহত হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য নাগরিক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসির সংবাদদাতারা বলছেন মূলত উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সহিংসতা হয়েছে। সংঘর্ষকারীদের কারও কারও হাতে বন্দুক দেখা গেছে। এসব এলাকার সড়কগুলো এখন অনেকটা ধ্বংসস্তূপের মতো রূপ নিয়েছে, রাস্তায় পুড়ছে যানবাহন, উড়ছে ধোঁয়া।
মুসলমান বিক্ষোভকারীদের ওপর ভারী কুঠার, লোহার রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন হিন্দুত্ববাদীরা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো প্রাণঘাতী এই সহিংসতায় ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর তারা পাথর নিক্ষেপ ও গুলিও করেন।