প্রাণের ৭১

ভারতের মেঘালয় এইবার উত্তপ্ত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব শুরুর পাঁচদিন পর মুখ খুলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

 

দুর্বৃত্তদের সহিংস হামলায় দিল্লি যখন জ্বলছে এ নিয়ে এতোদিন আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেননি অমিত শাহ।

 

গত রোববার থেকে চলা পাঁচদিনের লুটতরাজ, ভাঙচুর আর জ্বালাও-পোড়াও নিয়ে কোনো কথাই বলেননি তিনি। অথচ দিল্লির আইনশৃঙ্খলা দেখভালের দায়িত্ব তারই।

 

তবে এবার দিল্লি দাঙ্গায় হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে মুখ খুললেন অমিত শাহ।

 

মুখ খুলেই এ সহিংসতার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করেছেন তিনি।

 

শুক্রবার উড়িষ্যার এক জনসভায় অমিত শাহ বলেন, ‘বিরোধীরা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জনগণের মধ্যে ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে। তারা মানুষকে উসকানি দিয়েছেন। আর সেই উসকানিতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে দিল্লিতে। এ দাঙ্গার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিরোধীরাই দায়ী।’

 

অমিত শাহ বলেন, ‘নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার জন্য সিএএ নয়, বরং নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য এটি করা’।

 

উড়িষ্যায় ওই জনসভায় অমিত শাহ আরো বলেন, ‘সিএএ বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে বিরোধীরা। সিএএ -এর মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হবে বলে জানাচ্ছে কংগ্রেস, বিএসপি, এসপি, পশ্চিমবঙ্গের মমতার মতো সব বিরোধী দল। অথচ তাদের এই ব্যাখ্যা ভুল। আমরা বারবার বলছি এবং এখনও বলছি, সিএএ একজন সংখ্যালঘুর নাগরিকত্বও কেড়ে নেবে না’।

 

উল্লেখ্য, গত রোববারে দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত জাফরাবাদ এলাকায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে ঝাঁপিয়ে পড়ে হিন্দুত্ববাদীরা। এরপর তা উত্তর-পূর্ব দিল্লির প্রায় সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা রড, লাঠি, অ্যাসিড নিয়ে সিএএ-বিরোধীদের ওপর হামলায় চালায় বলে নিশ্চিত করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

 

বেছে বেছে মুসলমানদের ওপর এ আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।

 

এ সহিংসতায় হিন্দুত্ববাদীদের থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদ, ও ধর্মগ্রন্থ কোরআনও। দিল্লির কয়েকটি মসজিদে আগুন লাগায় তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে সেসব জ্বালাও-পোড়াও ও আগুন লাগানোর দৃশ্য।

 

দিল্লির এই দাঙ্গায় এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ঘিরে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র উসকানি ছড়ানোর পরই রোববার দিল্লিতে এ নজিরবিহীন তাণ্ডব শুরু হয়।

 

এসব ঘটনার পাঁচদিন পরে এসে এই সহিংসতার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকেই দায়ী করেছেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ।

 

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, ইকনমিক টাইমস






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*