সোনিয়া গান্ধী আসছেন ২৬ শে মার্চ।
মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ২৬ মার্চ ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বাংলাদেশ সফরে আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বুধবার সাংবাদিকদের একথা নিশ্চিত করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে বাংলাদেশ সরকার বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৭ মার্চ ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু হবে। এখন তার ক্ষণগণনা চলছে। মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিরাও যোগ দেবেন।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সারা বছরই বিদেশি অতিথিরা ঢাকায় আসবেন। উৎসবের সূচনায় ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অল্পসংখ্যক বিদেশি অতিথি ঢাকায় আসবেন। পর্যায়ক্রমে গণ্যমান্য অতিথিরাও ঢাকায় পৌঁছবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যথোপযুক্ত সম্মান জানানো হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের আশপাশে ভারতের যেসব রাজ্য রয়েছে; ওই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তবে তারা মূল অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকবেন না। মঞ্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি ভারতের অতিথিদের মধ্যে শুধু নরেন্দ্র মোদিই উপবিষ্ট থাকবেন।
মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার লক্ষ্যে ২২ মার্চ ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ঢাকায় আসবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ওই দিন জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন হওয়ার কথা রয়েছে। অধিবেশনে প্রণব মুখার্জির ভাষণ দেয়ার কর্মসূচি রয়েছে। যদিও প্রণব মুখার্জি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ থাকায় তার সফর নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তাও রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশি অতিথিদের নিয়ে আসতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অনেক দেশে আন্তর্জাতিক ইভেন্ট বাতিল হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আগামী ২ বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খুব ব্যস্ততা চলছে। প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।