ভারতের বিরোধী দল গুলোর মধ্যে বিভক্তি থাকলেও তারা সবাই সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে- মোঃ শামসুল আরিফ
ভারতে কৃষি ঋনের কারনে ফসলের দাম না পাওয়ার কারনে অনেক কৃষক আত্মহত্যা করে।
বাংলাদেশে সেই তুলনায় অনেকটা শুন্য। কয়েকমাস আগে এক ভারতীয় বন্ধুর সাথে তুমুল তর্ক হইছিল। ধর্ম টানতে চাই না তবুও বলতে হয় সে মুসলিম ছিল। সে বড় গলায় বলছে আমরা ভারতীয় মুসলিম, সে গর্বিত সে ভারতীয় এবং যত বিপদ হোক তারা কখনো বাংলাদেশে আসবে না। তার সাথে আরো কয়েকজন যোগ দিয়ে ছিল। তাদের সবার বক্তব্য ছিল প্রায় একই রকম। তারা বলছিল আমরা যদি সরকার দ্বারা নির্যাতিত হই আমরা ভারতীয় যা প্রতিবাদ করার আমরা করবো। তোমরা নিজেদের সমস্যা নিয়ে ভাবো।আমাদের সমস্যা নিয়ে নাক গলাতে এসো না।
আমি পাল্টা যুক্তি দিয়ে ছিলাম যে কৃষক ও কৃষি পণ্যের কোন দেশ হয় না, কৃষক সর্বজনীন কৃষক উৎপাদন করে সেই পণ্যের গ্রাহক বিশ্বের যে কোন ব্যাক্তি হতে পারে।
যা হোক অনেক তর্কের পর সে আমাকে আনফেন্ড করার আগে তার শেষ মেসেজ ছিল নিজেদের ব্যাপারে নাক গলাও আমাদের কথা চিন্তা করিও না।
সাম্প্রতিক ভারতে উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদের হাতে ৫০ জনের মত মানুষ খুন হয়। এদের মধ্যে বেশি সংখ্যক মানুষ দরিদ্র মুসলিম সখ্যালগু। এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ভারতে বিরোধীদল গুলো উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অনেক মিছিল সমবেশ হচ্ছে।এমনকি অভিযুক্ত বিজিপির অনেক সমর্থক এই হামলার নিন্দা জানাতে দেখলাম
ভারতের বিরোধী বড় রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে বিভক্তি থাকলেও তারা এতে সবাই প্রতিবাদে যুক্ত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতির এটি একটি ভাল দিক। প্রতিবাদ হতে হবে ঘর থেকে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে। এতে এক সময় ঢাকাতে ইসরাইলি এম্বেসি ঘেরাও করতে যাওয়া কথিত ইসলামি দলটি আন্দোলন করছে। কিন্তু যাদের জন্য আন্দোলন করছে তারা কি এদের কাছে বিচার দিছে। তারা কি জানে। মোদি বাংলাদেশে না আসলে কি তারা ভাল থাকবে। মোদি যদি না আসে মোদির কোন ক্ষতি হবে না। ক্ষতি হবে দেশের ইমেজের।
গ্রহের
বড় গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতে মোদি ক্ষমতায় নাও থাকতে পারে,
যে কোন একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবে সব সময়।
তাদের পররাষ্ট্র নীতি থাকবে একই রকম।এখন যারা ভারতে মোদির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে তারাও বলবে বাংলাদেশের উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক মানুষ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যাবহার করছে। ব্যাক্তি মোদি এখানে কোন বিষয় নয়।
আমাদের দেশের কথিত ইসলামিস্ট এর জন ধরদীদের আন্দোলনের কারনে আজ ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে। অনেকে তখন ট্রাকে করে খাদ্য নিয়ে গিয়েছিলো । চাঁদা তুলছে তাদের জন্য।কেউ কেউ কোদাল দিয়ে মাটি কেটে রোহিঙ্গাদের ভিটা তৈরি করে দিছে। কিন্তু শেষে এর ভুক্তভোগী হলো দেশ ও কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সাধারন স্থানীয় জনগন। আরো কত কাল এদের সমস্যা গুলো টানতে হবে তা অজানা।
সারা বিশ্বে সংখ্যালগুদের উপর নিপিড়ন বন্ধ হোক।