এবার মুক্তিযোদ্ধাদের ছয় দফা দাবি
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণার পর এবার মুক্তিযোদ্ধারা ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধাদের গণ জমায়েত ও মিছিল অনুষ্ঠানের এই দাবি জানানো হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে নৌ মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্মান করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে নৈরাজ্য সৃষ্টি কারীদের কঠিন শাস্তিও দাবী করেন।
পরে মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের ছয় দফা দাবির কথা বলেন। এগুলো হলো:
১. কোটা সংস্কারের নামে হত্যার গুজব ছড়িয়ে উস্কানি দিয়ে যারা অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
২. জামাত-শিবির-রাজাকার সন্তানদের চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
৩. স্বাধীনতা বিরোধীরা যারা সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করছে ও মুক্তিযুদ্ধ এবং সরকারবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে চাকরি হতে অপসারণ করতে হবে।
৪. যুদ্ধাপরাধীদের সব অস্থাবর-স্থাবর সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৫. ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে এবং বেসরকারি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, স্পেশাল ট্রাইবুন্যাল গঠন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্নকারী ও মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের হলোকাস্ট বা জেনোসাইড ডিনাইল ল`র আদলে আইন প্রণয়ন করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ওই সমাবেশে ঘোষণা করা হয়, আগামী ৯ জুন বিকাল তিনটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের নিয়ে সমাবেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা করেন।