বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনি মাজেদ জিয়াউর রহমান , এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে সুযোগ সুবিধা নিয়ে দেশ থেকে ১৯৯৬ সালে বিদেশে পালিয়ে যান
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে ক্যাপ্টেন মাজেদের পদায়ন হয়েছিল সেনেগালে। ১৯৮০ সালে জিয়া তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে সেনাবাহিনী থেকে অবসর দিয়ে উপসচিব হিসেবে জনপ্রশাসনে নিয়োগ দেন।
এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলেও তিনি সরকারি চাকরিতে বহাল ছিলেন।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে বিদেশে চলে যান। খবর ৮ এপ্রিল, ২০২০ প্রথম আলো
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় হয়েছিল ২০০৯ সালে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও ক্যাপ্টেন মাজেদ কোথায় আছেন জানা যাচ্ছিল না।মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর আনন্দবাজারের শিরোনাম ছিল, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী দুই দশক লুকিয়ে ছিলেন কলকাতায়; অবশেষে ঢাকায় ধরা পড়লেন।’ এতে আরও বলা হয়, নব্বই দশকের মাঝামাঝি আবদুল মাজেদ প্রথমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান। কলকাতায় থাকার সময় মাজেদ তেমন কিছু করতেন না। বাংলাদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগযোগও ছিল নিয়মিত। মার্চের মাঝামাঝি ময়মনসিংহের সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফেরার পর মিরপুরের বাসায় ওঠেন। (আনন্দবাজার, ৮ এপ্রিল ২০২০)
এর আগে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) বিভাগের কাছে মাজেদের বিষয়ে কোনো তথ্য ছিল না। ভারতে ও বা পাকিস্তানে মাজেদ আত্মগোপনে রয়েছেন কিনা সেই দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ হতে জানতে চাওয়া হলে ভারত জানিয়েছিল তাদের দেশে নেই। (ইত্তেফাক, ৮ এপ্রিল, ২০২০)