প্রাণের ৭১

নেতৃত্ব লাভের আকাঙ্খা তীব্র করা যাবেনা যাতে অপ্রাপ্তির বেদনা টুকুও তীব্র ভাবে সইতে না হয়-শেখ আতা

মোহাম্মদ হাসানঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আতাউর রহমান গত ২৮ মে একটি ফেইসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের নানাবিধ অজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন, এক পর্যায়ে উপস্থাপক মুজাহিদুল ইসলামের প্রশ্ন,” স্যার আপনি ছাত্ররাজনীতির শুরু থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আজ পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করছেন, যারা নতুন করে রাজনীতিতে আসছেন বিশেষকরে আমরা যে ছাত্রসমাজের কথা বলি তাদেরকে কোন আদর্শিক জায়গা থেকে কোন পয়েন্টে রাজনীতি করার কথা বলবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ মোঃ আতাউর রহমান বলেন,আমি বলবো প্রত্যেকটি মানুষ আমরা যারা সচেতন মানুষ শিক্ষিত মানুষ প্রত্যেকটা মানুষের উচিত দেশপ্রেমি মানবপ্রেমি জনদরদি এটাইতো রাজনীতিবিদের চরিত্র বৈশিষ্ট্য হওয়া বলে আমি মনে করি।

যারা দেশ সেবা করার জন্য মানব সেবা করার জন্য রাজনীতি করা হয় বলে দাবী করা হয়ে থাকে কিন্তু সেটাকে মনে প্রানে লালন করা কোন লোভ লালসা কোন অর্জন উপার্জনের উদ্দেশ্য কে প্রাধান্য না দিয়ে রাজনীতির স্বার্থে রাজনীতি করার যে চেতনা সেটাকে ধারন করার কথা আমি বলবো।

আর একটা জিনিস আছে যে অর্জনের মধ্যে রাজনৈতিক পদ পদবি অর্জনের বাসনা থাকাটা স্বাভাবিক। নেতৃত্ব অর্জন যেমন আমি এতটা পথ পাড়ি দিয়ে এতগুলো পদ পদবি অর্জন করে ছিলাম। এট অর্জন করার আকাঙ্খা থাকবে এটা স্বাভাবিক, এটা যারা রাজনীতি করে তারা রাজনীতিতে আরো ভালোভাবে ভূমিকা রাখতে,দায়িত্ব পালন করতে চাইবে কিন্তু একটু আগে যে বললাম পদের পেছনে ছুটার দরকার পড়ে না পদই যেন আমার পেছনে ছুটে সেভাবে নিষ্ঠার সাথে আন্তরিকতার সাথে পরিচ্ছন্ন মানসিকতা নিয়ে উন্নত চরিত্র নিয়ে জনগণের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করে আমাকে রাজনীতি করা উচিত। আমি তরুণ প্রজন্মের যারা রাজনীতি করছে যারা ছাত্র রাজনীতি করছে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো এ বিষয়টি মাথায় রাখতে বলবো। আরএকটা বিষয় হলো বর্তমান রাজনীতির যে প্রেক্ষাপট জাতীয় রাজনীতির যে প্রেক্ষাপট সে প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে কি হাইব্রিড একটা কথা চালু হয়েছে হাইব্রিড কথাটি আমরা ফসলের ক্ষেত্রে জানতাম রাজনীতিতে হাইব্রিড কি বুঝানো হয় কে কি বুঝে সেটা একেকজন একেকভাবে বুঝতে পারে।

আমি একটা জিনিস দেখছি কি বর্তমানে অসংখ্য ছাত্র রাজনীতি কর্মী বা রাজনৈতিক ব্যানারে জড়ো হয়েছে অসংখ্য বিপুল যেটা আমাদের সময়ে ছিলো না এত বিপুলতা।এত বিপুলতা এতো সংখ্যক ছাত্র কর্মী রাজনৈতিক ব্যানারে জড়ো হয়েছে আসলে এত বিপুল সংখ্যক তারা প্রত্যেকে তো নেতা হবে না আর প্রত্যেকে নেতা হতে চায় সেটাও আমি বলবোনা কিন্তু তাদের লেখাপড়াটা ঠিক রাখতে হবে নেতাদের পেছনে ঘুরঘুর করে নেতাদের মনোরঞ্জন করে সময়ে অসময়ে শুধু নেতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে লেখাপড়া ব্যাক্তি জীবন এগুলো কে গৌণ করে ফেলা হয় তাহলে এ ছাত্র রাজনীতির তারা নিজেরাও কোন সুফল পাবেনা দলকে দেশকেও কিছু দিতে পারবে না।অতএব লেখাপড়া ঠিক রাখতে হবে আর যারা নেতৃত্বে আসবে যাদের মধ্যে নেতৃত্বের যোগ্যতা আছে যোগ্যতা অর্জন করে নেতৃত্বে আসলাম। আর যখন আমি নেতৃত্ব পেলাম না ব্যার্থ হলাম তখন বুঝতে হবে যে আমার মধ্যে যোগ্যতার ঘাটতি আছে। আর একটা জিনিস আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি, নেতৃত্ব আল্লাহ থেকেই নির্ধারিত হয় সেখান থেকেই ফয়সালাটা হয়।

আল্লাহতালাই নেতৃত্ব বিকাশে নিয়মক এ বিশ্বাসটুকু রাখতে হবে। পদ পদবি অর্জনের ক্ষেত্রে আমার যোগ্যতা আল্লাহর ইচ্ছা এ দুইয়ের সমন্বেই নেতৃত্ব নির্ধারিত হয় এ বিষয়টি মাথায় রেখে রাজনীতি করতে হবে। আরএকটা জিনিস যে বললাম আকাঙ্খা রাজনীতিতে পদ পদবি লাভের আকাঙ্খা সে আকাঙ্খাটা কে কখোনই তীব্র করা যাবেনা।কারন সেটা নিশ্চিত না আকাঙ্খা থাকবে পদ পদবি লাভে তবে সেটা পাবো নিশ্চিত না তাই আকাঙ্খাটাকে তীব্র করা যাবেনা।কারন যখন আমি কাঙ্ক্ষিত পদ পদবি পাবো না তখন সে না পাওয়ার বেদনাটাও তীব্র হয়ে যাবে যা আমি সইতে পারবো না।তখন হয়তো আমি উম্মাদের মত আচরণ করবো দলের নেতাদের সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করবো।দল সম্পর্কে বিষোদগার করবো তখন সেটা আমি ব্যাক্তির জন্যও ভালো হবে না দলের জন্যও ভালো হবে না সুতরাং নেতৃত্ব লাভের আকাঙ্খা তীব্র করবোনা যাতে অপ্রাপ্তির বেদনা টুকুও আমাকে তীব্র ভাবে সইতে হয়।

তাই আজকালকার সময়ে যারা রাজনীতিতে এসেছে রাজনীতি করতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই পরামর্শ টুকু।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*