সরকার সীমান্ত হত্যা নিয়ে “টু শব্দ” করছে না – রিজবি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নতজানু বলেই সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ডে সরকার ‘টু-শব্দ’ করতে পারছে না। কোনও প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই একপেশে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশিরা। সীমান্তে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের হত্যা করছে বিএসএফ। দেশের ভেতর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনও চালায় তারা।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরো বলেন, বর্তমান সরকার এতোটাই নতজানু যে, এর আগে মন্ত্রীরা বিএসএফ এর হত্যাকাণ্ডের কোনও প্রতিবাদ না করে বরং তাদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশিদেরই অভিযুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা ঘরে বসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দেশ চালাচ্ছেন আর বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। করোনায় সয়লাব জনগণ কী মরণদশায় ভুগছে এগুলো উপলব্ধি করার ক্ষমতা তাদের নেই। যদি থাকতো তাহলে করোনা পরীক্ষার ওপর ২০০ টাকা ফি ধার্য করতো না, এই মহামারির মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করতো না, বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের দাপটে সাধারণ মানুষের দম বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতো না, পাটকল বন্ধ ও পাটশ্রমিকদের ছাঁটাই করতো না।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীনরা জনগণের পাশে নেই। তাদের এমপি মানব পাঁচারের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে গ্রেপ্তার হচ্ছে। তাদের জনপ্রতিনিধিদের খাটের তল থেকে, মাটির তল থেকে, গ্যারেজের ভেতর থেকে শুধু চালের বস্তা, তেলের লট বের হচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি।
রিজভীর কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আবারো জানাচ্ছি যে, আমার নামে কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আমি কোনো ফেসবুক পরিচালনা করি না। কতিপয় অসাধু ও প্রতারক ব্যক্তি আমার নামে ফেসবুক একাউন্ট খুলে প্রতারণা করছে। এ বিষয়ে সকলকে সর্তক থাকতে বিশেষ ভাবে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।