চট্টগ্রামে ২৪ ঘন্টায় আরও ৩৯৯ করোনা রোগী শনাক্ত, সুস্থ ৫৭
মোহাম্মদ হাসানঃ গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ২ হাজার ৫২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে আরও ৩৯৯ জনের দেহে। এর মধ্যে ৩১৩ জন নগরের ও ৮৬ জন বিভিন্ন উপজেলার। নতুন ৩৯৯ জনের মধ্যে ২৬৮ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে ঢাকার ল্যাবে; জট থাকায় এসব নমুনা অনেক আগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে ১২ হাজার ৩৩০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে; এর মধ্যে ৮ হাজার ৬১২ জন নগরের ও ৩ হাজার ৭১৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ২২০ জন; এর মধ্যে ১৫৬ জন নগরের ও ৬৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।
আজ ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে নগরের ২৮ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ১৩ জন আছেন।
বুধবার ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫ জন নগরের ও ৩২ জন উপজেলা পর্যায়ের বাসিন্দা। বিআইটিআইডি থেকে আগে ঢাকায় পাঠানো ৪৩৭টি নমুনায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে বুধবার ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের করোনা মিলেছে; এর মধ্যে ১৪ জন নগরের ও ৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাব থেকে আগে ঢাকায় পাঠানো ১৩১৪টি নমুনায় ২৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২১৬ জন নগরের ও ১৫ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু মিলেছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে চট্টগ্রামের ২৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জনের দেহে করোনা মিলেছে; এর মধ্যে নগরের ২৩ জন ও উপজেলার ১৩ জন আছেন।
বুধবার শেভরণ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পায়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়।
উপজেলা পর্যায়ে নতুন শনাক্ত ৮৬ জনের মধ্যে সাতকানিয়ার ২, বাঁশখালীর ২, আনোয়ারার ১২, চন্দনাইশের ৪, পটিয়ার ১৫, বোয়ালখালীর ৪, রাঙ্গুনিয়ার ৪, রাউজানের ১২, ফটিকছড়ির ৬, হাটহাজারীর ১৫, মীরসরাইয়ের ২, সন্দ্বীপের ২ ও সীতাকুণ্ডের ৬ জন আছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ৫৭ জন সুস্থ হয়েছেন; চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মোট ১ হাজার ৪৮৭ জন।