ফেসবুকের পলিসি হেড আঁখি দাসের পদত্যাগ
পদত্যাগ করলেন ভারতে ফেসবুকের পলিসি হেড আঁখি দাস। সাবেক মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ আঁখি ফেসবুকের পুরনো কর্মীদের অন্যতম।
গত আগস্ট মাসে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে আসে আঁখির নাম। অভিযোগ ওঠে, ফেসবুকে বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের ঘৃণা মন্তব্য কার্যত দেখেও দেখেন না কর্তৃপক্ষ। আমেরিকার একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের প্রতিবেদন ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় ভারতে।
ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়, বহু বিজেপি নেতা এবং কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা-নেত্রীর ‘উস্কানিমূলক’ বা হিংসা ছড়ানোর মতো মন্তব্য এবং পোস্ট ফেসবুক থেকে সরানোর বিরোধী ছিলেন আঁখি। আমেরিকার ওই সংবাদপত্র তাদের রিপোর্টে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি ই-মেইল প্রকাশ করে।
তার ভিত্তিতে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়, বিজেপি নেতা টি রাজা সিংহের পোস্ট করা ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য সরানোর বিরোধিতার পাশাপাশি আঁখি ওই বিজেপি নেতাকে ‘বিপজ্জনক’ বলে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রেও বিরোধিতা করেছিলেন।
এরপরেই শিরোনামে উঠে আসে আঁখির নাম। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ফেসবুকের ‘নিরপেক্ষ’ ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেই ঘটনার আড়াই মাসের মধ্যেই আঁখির পদত্যাগ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার পদত্যাগের কথা স্বীকার করেছেন।
ভারতে ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিত মোহন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ‘আঁখি পদত্যাগ করেছেন। তিনি জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান।
এ দেশে আমাদের পুরনো কর্মীদের মধ্যে আঁখি অন্যতম। তিনি প্রায় ৯ বছর আমাদের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। গত ২ বছর ধরে তিনি প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের সংস্থায় তার অবদান অনেক।’
আঁখির ফেসবুক প্রোফাইল অনুযায়ী তিনি ফেসবুকের ভারত, দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ার নীতিনির্ধারক দলের প্রধান ছিলেন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার পদত্যাগকে সাম্প্রতিক বিতর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন রাখলেও, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের দাবি, এটা প্রত্যাশিত।
কারণ বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই সংস্থার ভেতরে-বাইরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে আঁখিকে। ছত্তীসগঢ়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআরও। আবার ওই অভিযোগ ওঠার পর সংসদীয় কমিটির সামনে হাজিরা দিতে হয়েছিল আঁখিকে। ওয়াকিবহাল মহলের পর্যবেক্ষণ, এই গোটা বিতর্কিত পর্বের জেরেই আঁখির ইস্তফা।জাগো নিউজ