ভারতে নির্যাতনের প্রতিবাদে হিন্দুত্ব ছেড়ে বৌদ্ধ হলেন কয়েকশ দলিত
কয়েকজন বৌদ্ধ ধর্মগুরু দীক্ষা পরিচালনা করেন
ভারতের বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হচ্ছে গুজরাতের গীর সোমনাথ জেলার দুটি গ্রামের তিনশরও বেশি ক্ষুব্ধ দলিত রোববার হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছেন।
২০১৬ সালে গুজরাতের উনার মোটা সমাধিয়ালা গ্রামে তথাকথিত ‘গো-রক্ষক’ উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা যে কজন দলিত যুবককে মরা গরুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য জনসমক্ষে বেঁধে বেত দিয়ে পিটিয়েছিল, তারা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা রোববারের ধর্ম ত্যাগীদের তালিকায় রয়েছেন।
নির্যাতিত ঐ যুবকদের পিতা বালু সারভাইয়াকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকা লিখছে-” আমাদের ছেলেদের নির্মমভাবে বেত মারার ঘটনার দুই বছর হলো। অথচ এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার কিছুই করলো…আমরা সুবিচার পাইনি এবং অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
“দলিত বিদ্রোহ এগিয়ে নিতেই আমরা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করলাম..আরো যে সব দলিত নীরবে নির্যাতন ভোগ করছে, তারাও আজ অথবা কাল বৌদ্ধ হয়ে যাবে।”
তবে গুজরাটের কোনো নেতৃস্থানীয় দলিত নেতা, যেমন ভাডগ্রামের এমএলএ জিগনেষ মেওয়ানি, ঐ ধর্ম পরিবর্তনের অনুষ্ঠানে যাননি।
ভারতের বিভিন্ন মিডিয়ায় লেখা হয়েছে তিনজন বৌদ্ধ ধর্মগুরু ধর্ম পরিবর্তনের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
২০১৬ সালে গো-রক্ষকদের হাতে দলিত যুবকদের নির্যাতনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল
কলকাতায় আতঙ্ক, ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস খাবারে
জানুয়ারিতে এই ধর্ম পরিবর্তনের হুমকি দিয়েছিল উনার মোটা সমাধিয়ালা গ্রামের দলিতরা।
কদিন আগে তাদের কজনকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
এ কারণে গ্রামের চারদিক কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গুজরাট পুলিশের জেরা পর্যায়ের বেশ কজন কড়কর্তা নিজেরাই সেখানে ছিলেন। ।
২০১৬ সালে উনায় গো-রক্ষকদের হাতে দলিত কজন যুবকের বেত-পেটা খাওয়ার ঘটনা নিয়ে সেসময় দলিতদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে দলিতরা সহিংস বিক্ষোভ করেছে।