অভিবাসন বিতর্কে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ
অভিবাসন বিতর্কে বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রুড পদত্যাগ করেছেন। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় রোরবার রাতে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন।
পদত্যাগ এড়াতে অ্যাম্বার রুড বার বার ক্ষমা প্রার্থনা, ভুল স্বীকার ও সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন। তারপরও অভিবাসীদের প্রতি নির্মম আচরণের দায় এড়াতে পারেননি তিনি। পদত্যাগের পূর্বে তিনি বলেছেন সাংসদরা অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণে ‘অজানা ভুল’ করেছেন।
বৃটেনের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়ান অ্যাবট বলছেন, ‘অ্যাম্বার রুড কোন কিছুই ঠিক ভাবে করতে পারেননি।‘ তিনি বৃটেনে অবিভাসী সংকটের সূতিকাগার হিসেবে থেরেসা মে কে অবিহিত করে বলেন, ’ থেরেসা মেকে হাউজ অব কমনস-এ বলতে হবে তিনি জানতেন কিনা অ্যাম্বার রুড মন্ত্রী পরিষদকে ভুল পথে পরিচালিত করেছেন।‘
সরকারের বিতর্কিত অভিবাসননীতির কারণে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীদের (উইন্ডরাশ জেনারেশন) অনেকেই অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন। এ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। বুধবার রাতে গার্ডিয়ানে ফাঁস হওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে দেখা গেছে, ২০১৪-১৫ সালে কমপক্ষে ৭ হাজার ২০০ অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে অভিবাসন বিভাগ। ২০১৫-১৬ সালে সেই লক্ষ্য বাড়িয়ে ১২ হাজার করা হয়। বাধ্য হয়ে অ্যাম্বার রুড এই তথ্য স্বীকার করেন। গতকাল বিকেলে গার্ডিয়ানে ফাঁস হওয়া আরেকটি চিঠিতে দেখা যায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে অ্যাম্বার রাড নিজেই প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের লক্ষ্য সম্পর্কে জানিয়েছেন।