প্রাণের ৭১

শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত সম্ভব হয়েছে: রাষ্ট্রপতি

মোহাম্মদ হাসানঃ মহামান্য রাষ্টপতি এডভোকেট মোঃ আব্দুল হামিদ বলেছেন, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এখন আদালত প্রাঙ্গণে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। মামলার পরিমাণ দিন দিন যে হারে বাড়ছে, সেটা আয়ত্তে আনতে হলে বিচারকদের আরও বেশি কাজ করতে হবে।

১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক ভার্চুয়ালি যোগদিয়ে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আদালত প্রাঙ্গণে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য আমি এ কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি”।

আমি নিজে একজন আইনজীবী হিসেবে জানি বিচারকাজ কত কঠিন ও জটিল মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একইসঙ্গে বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় একজন বিচারককেও অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু তারপরও আমি বলবো, মামলার পরিমাণ দিন দিন যে হারে বাড়ছে, সেটা আয়ত্তে আনতে হলে বিচারকদের আরও বেশি কাজ করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি এড. মো. আবদুল হামিদ বলেন, “সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’ ।তাই মনে রাখতে হবে একজন বিচারপ্রার্থীর ন্যায়বিচার পাওয়া তার অধিকার। আর নাগরিকের সে অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন সুসংহত করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। জাতির ক্রান্তিকালে যখনই প্রয়োজন হয়েছে, তখনই সুপ্রিম কোর্ট মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও সংবিধানকে রক্ষা করেছে এবং করে যাচ্ছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আইনজীবীগণ বিচারব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ। আইনজীবীদের সহায়তা ছাড়া বিচারের কাজ কিছুতেই অগ্রসর হতে পারে না।”






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*