ফ্রান্স থেকে ফেব্রুয়ারিতে কেনা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রাডার
রাডার, নেট থেকে নেওয়া দেশের আকাশসীমা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থ্যালাসের কাছ থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রাডার কেনা হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হবে কাজ। এতে ড্রোন-হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে তদারকি করা যাবে সব ধরণের আকাশ যান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩০ বছর আগে বসানো রাডারটির কার্যক্ষমতার পাশাপাশি পরিধিও সীমিত। এতে আকাশপথে নজরদারিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের। সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরের বিস্তির্ণ এলাকা এর আওতার বাইরে থাকায় সেসব এলাকার ওপর দিয়ে কোনো উড়োজাহাজ গেলে তা জানতে পারছে না বাংলাদেশ। আদায় হচ্ছে না রাজস্বও। এদিকে নতুন এই রাডারে এডিএসবি প্রযুক্তি যুক্তের পরামর্শ দিয়েছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান রাডারটির রোটেশনের গতি কম বলে অনেক সময় উড়োজাহাজের অবস্থান শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে বলে মনে করছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। এর লো নেভেল কভারেজ না থাকায় হেলিকপ্টার বা ড্রোন উড়ে গেলে তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না, আছে ব্লাইন্ড স্পটও। এ অবস্থায় ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থ্যালাসের তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রাডার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মহিবুল হক। বিষয়টি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হবে কাজ। এ রাডারটি বসানো হলে দেশের ক্যাচমেট এরিয়ায় উড়োজাহাজ এলে পযবেক্ষণ করা যাবে গতিবিধি। পাশাপাশি বৈদেশিক আয় বাড়ানোর সুযোগও রয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।