বার্গম্যান, খলিলরা যে মানের সাংবাদিক, তাগো মূল্যায়ন আল-জাজিরা ছাড়া আর কেউ করতারবো না- অমি রহমান পিয়াল
বার্গম্যান, খলিলরা যে মানের সাংবাদিক, তাগো মূল্যায়ন আল-জাজিরা ছাড়া আর কেউ করতারবো না। দেশে হইলে মাহমুদুর রহমান তাগোরে বুকে আগলায়া রাখতো অবশ্য। যার পত্রিকায় কাবা শরীফে গিলাফ পরিবর্তনের ছবি এডিট কইরা তা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিবাদ বইলা ছাপা হয়। আল-জাজিরা বলছিলো, বাংলাদেশ সরকার সব ইসলামিক স্কলারগো ফাঁসিতে ঝুলাইতেছে, ব্যাপারটা আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা! এই রিপোর্টগুলা তখন করছিলো বার্গম্যান। সেদিন দেখি খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোতে সেনাপ্রধানের ভাইদের ইন্টারপোলের রেডএলার্ট পাওয়া আসামি বইলা সম্বোধন করতেছে খলিল সাব। তো হইতেই পারে, সেনা প্রধানের এতো ক্ষমতা যে তিনি কর্নেল থাকা অবস্থাতেই ইন্টারপোল তার কথা শুইনা তার ভাইগো ধরে নাই। তো যেই খুনের জন্য ভাইলোগ রেডএলার্টের আসামী তার পরিচয় বার্গম্যান খলিল দিছে আওয়ামী লীগের অপনেন্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে। কী সেইটা? ঝাইড়া কাশে নাই।
বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক-রশীদের ফ্রিডম পার্টি সম্পর্কে নব্বই দশকের পোলাপাইন থিকা বেশি কে জানে? লিবিয়া থিকা ট্রেনিং নিয়া আসা অত্যাধুনিক অস্ত্রধারী গুন্ডারা শিবিরের লগে মিল্যা যুব কমান্ড হইয়া ঝাপায়া পড়ছিলো নির্মূল কমিটির উপর। খালেদা জিয়ার আমলে। ’৯৪-৯৫-৯৬ এমন কোনো দিন নাই তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণআদালতের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা করে নাই। উল্লেখিত মোস্তফা ছিলো তাদের একজন। মোহাম্মদপুরে বসবাস করা ৫০ এর উপর বয়স যে কেউ বলতে পারবে মোস্তফা সম্পর্কে। ধানমন্ডী ৩২ নম্বরে শেখ হাসিনারে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি আর বোমা হামলা চালাইছিলো সে।

মোস্তফা মারা গেছে কার হাতে? আন্ডারগ্রাউন্ড কল বিহারী বা মাউরা মুন্নার হাতে। তারপরও বলা হয় সে ডাইং ডিক্লারেশন দিছিলো, যেখানে উল্লেখ করছে হারিস তারে লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়া গুলি করছে। মানে গুলি করার আগে তারে লাইসেন্স দেখাইছিলো। তারপর তার কোমর থিকা পিস্তল নিয়া জোসেফ তারে মারছে। যাহোক সেই মামলায় হারিস পলাতক, তার আরেক ভাই পলাতক আর জোসেফ ২০ বছর সাজা খাইটা ২ বছর কারাদণ্ড মওকুফ নিয়া বাইর হইছে। অর্ধসত্য বলা, সত্য চাইপা রাখা আর মিথ্যার মধ্যে বেসিক্যালি আমি কোনো তফাৎ দেখি না। অবস্থা যে দেখতাছি ফারুক রশীদ এখন ঝুললে বার্গম্যান খলিলরা লিখতো এবং বলতো- দুই নিরীহ সাবেক সেনা অফিসারকে ফাঁসি দিলো জালিম বাংলাদেশ সরকার। তাদের গবাদিরা ব্যবহার করে সেই রকম দালালী সার্ভিস দিতেছে বইলাই। নাইলে ইসরায়েলের নাগরিক কিংবা ধর্ম অবিশ্বাসী কিংবা সমকামের সমর্থকদের গবাদিরা যেই পরিমাণ ঘৃণা করে তার দ্বিগুণ ভালোবাসা দিয়া তাগো বুকে জড়ায়া রাখার কারণ কী? ওই সার্ভিসের কারণেই। এগো বুকপিঠ বইলা কিছু নাই। যেই পাতে খাবে সেই পাতে মল ত্যাগের অসীম ক্ষমতায় বলীয়ান তারা। পুরাই লিজেন্ড…
Omi Rahaman pial
ফেসবুক থেকে