কোভিড-১৯ঃ খাঁচা বিহীন জেল জীবন
২০২০ইং শুরু থেকে সারাবিশ্বে শুরু হওয়া মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা খাঁচা বিহীন জেলে বন্দি আছি। কোভিড-১৯ ভাইরাসে শুধু মানুষ নয় পৃথিবীও আক্রান্ত।
বিশ্বের প্রতিটি দেশের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং বহু অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছে। এবং মানুষের জীবনমান ও দৈনন্দিন জীবনে তা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা আক্রান্ত হয়নি তারাও এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর কারনে মানবিক রাষ্ট্র ও মানুষ গুলো বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। বিশ্বে যে ক্রান্তিলগ্নে সুপার হিরোদের আর্বিভাব হয় তেমনি এই মহামারিতে অনেক হিরোর জম্ম হয়েছে। অনেকে মানুষের জীবন রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের প্রান বিসর্জন দিয়েছে। বেঁচে যাওয়া মানুষ গুলো ভবিষ্যৎ পৃথিবী এদের কৃতজ্ঞচিত্রে স্বরন করবে যুগ যুগ ধরে।
কেউ যদি বলে কোভিড-১৯ এর কারনে সে কোন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বা রোগে আক্রান্ত হয়নি তবে সে মিথ্যে বলছে। পৃথিবীর সকল মানুষ এই মহামারিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।মহামারি রোগটি ছোঁয়াছে হওয়ার কারে মানুষের সাথে মানুষের স্পর্শে বিশ্বে ব্যাপক বিস্তার ঘটে।
উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্র প্রধান হয়ে দারিদ্র্য দেশের সাধারণ মানুষ ও এই কোভিড-১৯ মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছে।
পৃথিবীর সন্তানেরা পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মেধা বিকাশে অনেক বাধাগ্রস্থ হয়েছে।
বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানী গুলো ব্যাপকভাবে চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করে মানুষ কে রক্ষা করতে। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা দ্রত গবেষণা করে এর টিকা আবিষ্কার করছে। মানব সভ্যতা রক্ষা করার জন্য তাদের এই আবিষ্কার মানুষকে সাহস ও বাঁচার অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
পৃথিবীর সচেতন মানুষ গুলো নিজেদের ঘরে বন্দী রেখে মহামারি কমাতে সাহায্য করেছে।
একটি বিষয় ব্যাপকভাবে চিন্তা করলে বুঝা যায়, বিশ্বে প্রত্যেক মানুষ একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে।
একটি প্রচলিত কথা আছে ‘নগর পুড়লে দেবালয় এড়ানো যায় না” অথ্যাৎ পৃথিবী আমাদের তাই এটি রোগ ও সমস্যা মুক্ত করে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে সুন্দর মানবিক বৃহত্তর সমাজ গড়তে হবে। এর নেতৃত্ব দিতে হবে সচেতন উন্নত রাষ্ট্র গুলোকে।
লেখক
Md Shamsul arif
Paris,France