প্রথমবার মঙ্গলের শব্দ শুনলো পৃথিবী
প্রথমবারের মতো পারসিভারেন্সের পাঠানো ভিডিও প্রকাশ করেছে নাসা। মঙ্গলে নাসার রোভার পারসিভারেন্স ল্যান্ড করার মুহূর্তের ছবি ধরা পড়েছে ঐ ভিডিওতে। কেবল ছবি নয়, একটি ক্লিপে মঙ্গলের শব্দও রয়েছে। পারসিভারেন্সের দুটি মাইক ঐ শব্দ রেকর্ড করেছে। খুব হালকা হাওয়ার শব্দ রয়েছে ঐ সাউন্ড ক্লিপে। তবে ল্যান্ডিং করার সময় মহাকাশযানের মাইক কাজ করেনি। ফলে ল্যান্ডিংয়ের সময় কোনো শব্দ রেকর্ড করা যায়নি। খবর ডয়চেভেলের
সবচেয়ে আধুনিক মহাকাশযান: নাসার দাবি, রোভার পারসিভারেন্স এখনো পর্যন্ত নাসার তৈরি সবচেয়ে আধুনিক মহাকাশযান। মঙ্গলে মূলত পানি এবং প্রাণের সন্ধান চালাবে এই যানটি। এই প্রথম মহাকাশে হেলিকপ্টার পাঠাল নাসা। মঙ্গলের আকাশে ঘুরপাক খাবে হেলিকপ্টারটি। আকাশ থেকে মঙ্গলের ছবি সংগ্রহ করবে হেলিকপ্টারটি।
অ্যাটলাস ভি রকেট: অ্যাটলাস ভি রকেটে করেই মহাকাশে পাঠানো হয় রোভার পারসিভারেন্সকে। ৩০ জুলাই ফ্লোরিডার গবেষণাকেন্দ্র থেকে রকেটটিকে ছাড়া হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে পৌঁছায় পারসিভারেন্স। অত্যাধুনিক পারসিভারেন্সে ২৩টি ক্যামেরা এবং রয়েছে অসংখ্য সেন্সর। দুটি শক্তিশালী মাইক্রোফোন। মঙ্গলের পাথরে অক্সিজেনের সন্ধান চালাবে এই যানটি। এই প্রথম এ ধরনের পরীক্ষা চালাবে নাসা। এর আগে ২০১২ সালে মঙ্গলে কিউরিওসিটি পাঠিয়েছিল নাসা। এখনো পর্যন্ত মঙ্গলে ২১ কিলোমিটার ঘুরেছে ঐ যানটি। কিউরিওসিটি কেবলমাত্র একটি রোভার নয়। তার ভেতরে আস্ত একটি পরীক্ষাগার তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলে প্রথম টায়ারের দাগ: ১৯৯৭ সালে প্রথম মঙ্গলে কোনো গাড়ি বা রোভার নামে। সেই যন্ত্রটির নাম ছিল রোভার সোজর্নার। ঐ মোবাইল রোবটে এক্সরে যন্ত্র লাগানো ছিল। এখনো মঙ্গলে রয়েছে সোজর্নার। তবে কিউরিওসিটি পৌঁছানোর পরে ঐ যানটির আর কোনো গুরুত্ব নেই।