‘বিজেপি বিধায়ক থেকে বেটি বাঁচাও’: রাহুল গান্ধী
ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘মোদিজির স্লোগান এখন পাল্টে গেছে। আগে স্লোগান ছিল, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’। কিন্তু এখন স্লোগান হল, ‘বিজেপি বিধায়ক থেকে বেটি বাঁচাও’।
তিনি আজ (শুক্রবার) কর্ণাটকে নির্বাচনী জনসমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন। আগামী ১২ মে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতে কন্যা সন্তানের সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ (কন্যা সন্তানের সুরক্ষা ও শিক্ষা) প্রকল্পের সূচনা করেন। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী ও শিশুরা যেভাবে লাঞ্ছিতা ও ধর্ষিতা হচ্ছেন এবং বিজেপি’র লোকজন এমনকি তাদের বিধায়করাও ওই ঘটনায় নানাভাবে জড়িয়ে পড়ছেন রাহুল সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ‘বেটি বাঁচাও, বিজেপি বিধায়ক থেকে’ (বিজেপি বিধায়ক থেকে কন্যাদের বাঁচাও) বলে কটাক্ষ করেছেন।
রাহুল বলেন, ‘উত্তর প্রদেশে ওদের এক বিধায়ক নারীকে ধর্ষণ করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যিনি বলেছেন, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ বলেন, তার মুখ থেকে একটি শব্দও বেরোয় না। জম্মু-কাশ্মিরে ৮ বছরের এক ছোট্ট শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিন্তু নরেন্দ্র মোদির মুখ থেকে কোনো কথা বেরোয়নি। যারা নারীরা এখানে এসেছেন, আপনারা শুনুন- ইতিহাসে এই প্রথম, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে সরাসরি বলা হয়েছে আপনি ভারতের নারীদের রক্ষা করছেন না!’
রাহুল আজ উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিজেপি’র লোকেরা আপনাদের অর্থ কেড়ে নিয়ে নীরব মোদি, রেড্ডি ভাইদের দিচ্ছেন। আমাদের সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে কর্ণাটকে নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করবে। কর্ণাটকে যখন আমরা কৃষকদের আট হাজার কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করেছি তখন মোদিজি কর্ণাটকের কৃষকদের এক টাকার সাহায্যও করেননি।’
তিনি বলেন, ‘বিজেপি/আর এস এসের লোকেরা গোটা দেশে দলিতদের নিষ্পেষণ করছে, তাদেরকে হত্যা করছে। কিন্তু যিনি (মোদি) আম্বেদকরের কথা বলছেন, তার মুখ থেকে কোনো কথা বেরোচ্ছে না। আপনাদের ভাষা, ইতিহাস, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস বিজেপি/আর এস এসের লোকেরা চূর্ণ করতে চাচ্ছে। বিজেপি চাচ্ছে কর্ণাটককে আরএসএস পরিচালিত করুক।’
অন্যদিকে, আজ একইদিনে কর্ণাটকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘নমো’ অ্যাপের মাধ্যমে বিজেপি নারী শাখার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেশে বলেন, দেশে নারী উন্নয়ন এগিয়ে রয়েছে এবং নারী নেতৃত্ব এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তাভাবনা চলছে।