করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে কামরুলকে দেখতে চায়
মোহাম্মদ হাসান : চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ইউনিয়ন ১ নং করেরহাট। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম সাবেক ছাত্রনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান কামরুল।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছেন? নতুন মুখ আসছে নাকি পুরনো থেকে যাচ্ছে। তবে এই সময়ে আলোচনার কেন্দবিন্দুতে কামরুল। দলীয় মনোনয়ন লাভে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ও তার অনুসারীরা।
মীরসরাই উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনের সর্বজন পরিচিত তরুণ ১৯৭৯ সালের ৩ জুন করেরহাট ইউনিয়নের ভালুকিয়া গ্রামের সৈয়দ ভূঁইয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা উপজেলা বিআরডিবির সাবেক ৫ বারের সফল চেয়ারম্যান ও একাত্তরের রনাঙ্গনের সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তোবারক হোসেন। প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে ১৯৯৪ সালে মিঠানালা রামদয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।
১৯৯৬ সালে মিরসরাই কলেজ থেকে এইসএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে বারইয়ারহাট কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯২-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মিঠানালা উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বারইয়ারহাট ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত বারইয়ারহাট কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০১- ২০০৬ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৭ সালে করেরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের অন্যতম সদস্যের দায়িত্ব¡ পালন করেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ব্যবসায়িক পরিমন্ডলে তিনি ফেনী উপত্যকা বৃহত্তর কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সদস্য ও রামগড়-করেরহাট ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য, রামগড় কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য, মীরসরাই ট্রাক-পিকআপ মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে অবদান রাখছেন।
তারই করেরহাট বাজার উন্নয়ন কমিটির নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর বাজার উন্নয়নের ব্যাপক কাজ করেন। সমাজকর্মে তিনি উদয়ন ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ও বর্তমানে ক্লাবের উচ্চ পরিষদের সদস্যের দায়িত্বে রয়েছেন।
ভালুকিয়া ফ্রেন্ডশীপ ক্লাবের উপদেষ্টা, পশ্চিম জোয়ার ক্রীড়া সংস্থার উপদেষ্টা, মীরসরাই প্রেসক্লাবের দাতা সদস্য, করেরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সদস্য, দাতা ও আজীবন সদস্য চট্টগ্রামস্থ মিরসরাই এসোসিয়েশন, ঢাকাস্থ মীরসরাই এসোসিয়েশন সহ অসংখ্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাজী তবারক হোসেন। তিনি মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ফেডারেশন মীরসরাই উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন পাঁচবার। খালু মরহুম মাজাহারুল বীর উত্তম। জেঠা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলতাফ হোসেন (প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ)। মেজো মামা মুয়াজ উদ্দিন আহমেদ বীর মুক্তিযুদ্ধা (বর্তমানে ঢাকা আছেন)। জানা গেছে, গরীব অসহায় মানুষের প্রাণের বন্ধু কামরুলের কাছে এসে কেউ কোনদিন খালি হাতে ফিরেনি। মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।
করোনাকালে নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে করেরহাট ইউনিয়নে ২৮শ পরিবার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ২শ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া ইউনিয়নে খেলাধুলা, গরিব মেয়ের বিয়ে, অসহায় মানুষের চিকিৎসা, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান সহ সবকিছুতে তিনি সহযোগীতা করে আসছেন। তারপরও বৃহৎ পরিসরে মানুষের সেবা করতে হলে একটা অবস্থান প্রয়োজন। তাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবেন। কামরুল হোসেন বলেন, ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। দলের দুর্দিনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। অনেক হামলা, মামলা হয়েছে তারপরও কখনো দমিয়ে রাখতে পারেনি।
তৃণমুলের নেতা-কর্মীদের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি সব সময়। তৃণমুলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগনই আমার শক্তি।
মীরসরাইয়ের অভিববাক প্রিয় নেতা সাবেক সফল মন্ত্রী শ্রদ্ধেয় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা করছি সবকিছু বিবেচনা করলে আমি চেয়ারম্যান পদে দলীয় সমর্থন পাবো।