কুমিল্লায় ২ হত্যার আসামি পুলিশের গুলিতে নিহত
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৬০) গুলি করে হত্যার মামলার দুই আসামী বন্দুযুদ্ধে নিহত হয়েছে।এসময় সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল, একটি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা এবং কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেন পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও পুলিশের পরিদর্শক পরিমল দাস ।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাত ১২টায় কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকায় বালুমহল সংলগ্ন সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের নিকটে এ ঘটনায় ঘটে,

নিহত হলেন মামলার ৩নাম্বার আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়া ছেলে মো সাব্বির রহমান(২৮) ও মামলার ৫ নং আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন(৩২)
তিনি বলেন , গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা (ডিবি) যৗথ অভিযান পরিচালনা করেন।এসময় এক পর্যায় আসামিরা গুলি বর্ষণ করলে পাল্টা গুলিতে দুইজন নিহত হন।
জেলা ডিবি পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তি জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদ ভিত্তিতে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ রায়ের হত্যা মামলার এজহারনামীয় আসামি সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা সংরাইশ এবং নবগ্রাম এলাকায় অবস্থানের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে ডিবি পুলিশের একাধিক টিম আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা শুরু করে।

এসময় ডিবি ও থানা পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থলে দুইজন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন
পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উক্ত ব্যক্তিদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসিদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দুইজন। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।