ভোলায় ডবল মার্ডার মামলায় ২ জনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন
ভোলায় ২০১৮ সালের চাঞ্চল্যকর ডবল মার্ডার মামলায় ২ জনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও প্রদান করেন। জেলা দায়রা ও সেশন জজ মো. মহসিনুল হক জনাকীর্ণ আদালতে সম্পূর্ণ রায় পড়ে শোনান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ই মে রোববার মধ্যরাতে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ভোটেরঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পৈতৃক জমি নিয়ে মামুন এবং তার ছোট ভাই মাসুমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাপ্তা ভোটের ঘর ব্রিজের ওপর বড় ভাই মামুন লোকজন নিয়ে ছোট ভাই মাসুমের ওপর হামলা করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার শ্যালক জাহিদ মাসুমকে বাঁচাতে এলে তাকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে ভোলা সদর থানায় মামলা হলে প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন ভোলা থানার ওসি তদন্ত মনির হোসেন মিয়া পরবর্তীতে পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেনসহ অনেকে তদন্ত করে ২০১৯ সালে ভোলার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর মামলাটির সেশন-১৯৫/২০ হিসেবে বিচার কার্য শুরু হয়।
ভোলায় জেলা জজ হিসেবে যোগ দিয়েই মো. মহসিনুল হক মামলাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আমলে নিয়ে ভোলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ মো. সানাউল হকসহ সর্বমোট ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। রায়ে জেলে থাকা আসামি মামুন ও পলাতক আসামি ফিরোজকে মৃত্যুদণ্ড ও বয়সের বিবেচনায় আসামি আরিফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং বাকি আসামি মামুনের স্ত্রী রেহানা বেগম ও ছোট ছেলে আরিফকে খালাস প্রদান করেন।