তাসফিয়া হত্যার “গুরুত্বপুর্ণ তথ্য ” পাওয়া গেছে
চট্টগ্রামে সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া হত্যা মামলার আসামি তার বন্ধু আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।
রোববার চট্টগ্রাম মহানগর শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরীর আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করার পাশাপাশি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তাসফিয়ার পরনে থাকা কাপড়গুলো ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত সিআইডি ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
একই সঙ্গে আদনানের ব্যবহার করা মোবাইল ও তার রিমের সব তথ্য থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাকে দিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের সাত দিন হেফজাতে নেওয়ার আবেদন করেছেন। তবে এর শুনানি হয়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, কিশোর সংশোধনাগার কেন্দ্র গাজীপুরের তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। তাই তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের সাত দিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত আগামী ৩১ মে শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত ২ এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় তাসফিয়া। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে কর্ণফুলীর তীরে পাথরের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকা ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা মো. আমিন বাদী হয়ে নগরীর পতেঙ্গা থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। আদনান ছাড়া অন্য আসামিরা হলো- সোহাইল, শওকত মিরাজ, আসিফ মিজান, ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম ও মো. ফিরোজ।