২৯ রাজবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ভেনেজুয়েলা
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরোধীপক্ষের ৩৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে ভেনেজুয়েলা। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সান ক্রিস্টোবাল শহরের সাবেক মেয়র প্রতিপক্ষ ড্যানিয়েল সেবালোস থাকলেও নেই দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা লিওপোলদো লোপেজ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলার মাদুরোপন্থী সংসদের নেতা ডেলসি রদ্রিগেজ শুক্রবার ৩৯ জনকে মুক্তি দেওয়ার এই ঘোষণা দেন। গত ২০ মে’র বিতর্কিত নির্বাচনের আগে মাদুরো তাদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রদ্রিগেজ বলেন, বন্দি রাজনীতিকদের ভাগে ভাগে মুক্তি দেওয়া হবে। কারণ আইনত তাদের সবাইকে একই দিন মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।
ভেনেজুয়েলার সুপ্রিমকোর্টের প্রধান মাইকেল মরেনো জানিয়েছেন, ৩৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হলেও তাদের মধ্যে বিরোধী নেতা লিওপোলদো লোপেজ নেই।
মাদুরো গত ২০ মে’র নির্বাচনে ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তবে ওই ভোটে সর্বনিম্ন মানুষ ভোট দেন। শুক্রবার এই ঘোষণা আসার আগে এক টুইট বার্তায় মাদুরো বলেন, ভেনেজুয়েলার সরকার একটি খোলামেলা, আন্তরিক ও গঠনমূলক সংলাপের জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘যারা শান্তি ও পুনর্মিলনের পথ বেছে নিতে চায় তাদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে।’
পুনর্মিলনের সংলাপের মধ্যেই কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি আলোচ্য ছিল। দেশটির বিরোধী নেতা লেডি গোমেজ বলেন, বৃহস্পতিবার মাদুরোর আলোচনা প্রধান বিষয়বস্তু ছিল রাজনৈতিক নির্যাতন বন্ধ করা।
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাব শুক্রবার বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মুক্তির তালিকায় থাকা কারাবন্দিদের নাম ব্যাপক ও প্রতিনিধিত্বমূলক।
মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে সান ক্রিস্টোবাল শহরের সাবেক মেয়র ড্যানিয়েল সেলবালোস মাদুরোর একজন শক্ত বিরোধী। তাকে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে প্রথম গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে গৃহবন্দি করা হলেও ২০১৬ সালে তাকে আবারও জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তিনি প্রথম তা অস্বীকার করে আসছেন। মুক্তি পেলেও সেবালোস দেশত্যাগ করতে পারবেন না। এছাড়া তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছে ভেনেজুয়েলার আদালত।