সুন্দরবনে বাড়ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
বাঘের সংখ্যা বাড়তে চলেছে সুন্দরবনে। এমনই আশা করছে বন দফতর। প্রায় তিন মাস ধরে ধরে সুন্দরবনে বাঘসুমারি চলছে। এই বাঘসুমারি প্রায় শেষের পথে। এখান থেকেই উঠে আসছে এমন তথ্য। বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদী বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ।
গত এক মাস ধরে একটি বাঘ নাজেহাল করে ছাড়ছে বন দফতরকে। তবে, এ বার খুশির খবর আসতে চলেছে বন দফতjs৷ কারণ খুব শীঘ্রই সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৩ থেকে বেড়ে ১১০ হতে চলেছে। বন দফতর সূত্রেই মিলছে এই খুশির খবর। এই বছরই প্রথম ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে বাঘ গণনা হচ্ছে। সুন্দরবনের বিশাল বনভূমিতে মাঝে কোনও কাঁটা তার নেই। তাই ভারত এবং বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ঠিক কত, তা নিয়ে একটা ধন্দ থেকেই যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বন দফতর। সেই জন্যই এই বছর এক সঙ্গে বাঘ গণনার সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে৷
রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “গত বারের বাঘ সুমারিতে সুন্দরবনে ১০৩টি বাঘের খোঁজ পেয়েছিলাম আমরা। বাঘ গণনায় বন দফতরের সঙ্গে ডব্লুডব্লুএফ কাজ করছে। এ বারেও ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে কাজ চলছে। আমি আশাবাদী বাঘের সংখ্যা আট থেকে ১০ টা বাড়তে পারে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা গণনার সময়ে ছোট বাঘগুলিকে ধরি না। শুধুমাত্র পূর্ণ বয়স্ক বাঘকেই গণনার মধ্যে আনা হয়। গত বারের ছোট বাঘগুলি এ বার বড় হয়েছে। সেই থেকেই আশা করছি বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।”
তবে এই বাঘ গণনায় বন দফতরের পূর্ব ঘোষিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতের দিকে সুন্দরবনের বনভূমির হার ৪০ শতাংশ। তাই ফেব্রুয়ারিতে বাঘ গণনা শুরু হওয়ার পর বন দফতর জানিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে বাঘ গণনা শেষ হয়ে যাবে। দু’মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর বন দফতর সূত্রেই জানা যাচ্ছে আরও মাস দু’-এক লাগতে পারে বাঘ গণনার কাজ সম্পূর্ণ করতে।
কেন সময় লাগছে? বনমন্ত্রী বলেন, “ বাঘ গণনার বিষয়টা বেশ কঠিন। যেখানে যেখানে ক্যামেরা বসানো হয় সেই সব জায়গা থেকে ছবি পাওয়ার পর একটা বড় সময় লাগে বিশ্লেষণের জন্য। কারণ একই বাঘের ছবি অনেকবার চলে আসতে পারে।’’ একই সঙ্গে বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাঘের পায়ের ছাপ অনেক সময় আলাদা করে চেনা মুশকিল হয়ে যায়। কিন্তু প্রত্যেকটি বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগ আলাদা হয়। এটাই বিশ্লেষণের আসল পর্যায়। এর জন্য বেশ কিছু সময় লাগছে। কাজ চলছে পুরোদমে। আশা করছি আর মাস দুই-তিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।”
Kolkata24x7