বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়বে ও কমবে
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেট অনুসারে বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে। আবার কিছু পণ্যের দাম কমতে পারে।
বাজেটে মোবাইল ও ব্যাটারি চার্জার আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ২০০০ ভোল্ট পর্যন্ত ইউপিএসও আইপিএস আমদানিতে শুল্ক বাড়ছে। ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার আমদানিতে শুল্ক বাড়ছে। ল্যাম্প হোল্ডারের দাম বাড়বে। পুরোনো গাড়ির অবচয় সুবিধা বছরভিত্তিক ৫ শতাংশ হারে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাইসাইকেল তৈরি সরঞ্জামে আমদানি শুল্ক বেড়েছে। এনার্জি ড্রিংকের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে।প্রসাধন সামগ্রী যেমন: সানস্ক্রিন,নগ বা পায়ের প্রসাধন সামগ্রীর ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।সেভিং সামগ্রী,শরীরের দুর্গন্ধ ও ঘাম দূরীকরণে ব্যবহৃত সামগ্রী (আতর ব্যতীত), সুগন্ধযুক্ত বাথ সল্ট ও অন্যান্য গোসল সামগ্রীতে সম্পূরক শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া সিগারেট পেপার,বিড়ির পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।সিরামিকের বাথটাব,জিকুজি শাওয়ার,শাওয়ার ট্রের সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর জন্য আলট্রা ভায়োলেট,ফিলামেন্ট ল্যাম্পের ব্যবহার কমানোর জন্য সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ করা হয়েছে। পলিথিনের ব্যবহার কমানোর জন্য পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ ও মোড়কের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।তামাকজাত পণ্যের রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধু, চুইংগাম, সুগার কনফেকশনারি, চকলেট, কোকোযুক্ত খাবার, বাদাম,সিরিয়াল,ওটস,খুচরা মোড়কে সরাসরি বিক্রির জন্য আমদানিতে শুল্কহার ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
রেফ্রিজারেটর তৈরির উপকরণ রেফ্রিজারেন্ট,প্রিন্টেড স্টিল শিট,কপার টিউব,আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। হাইড্রলিক ব্রেক ফ্লুইড ও হাইড্রলিক ট্রান্সমিশনসহ অন্যান্য পণ্যে আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ১৫ করা হয়েছে। কাশ্মীরি ছাগল ও অন্য প্রাণীর লোম থেকে তৈরি সামগ্রীতে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। চুলের ক্লিপ ও চুল পড়া রোধক সামগ্রীর সম্পূরক শুল্ক শূন্য থেকে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
বাজেটে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত হাইব্রিড মোটরগাড়ি আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের মধ্যে কার্বন রডের শুল্ক কমেছে। মোটরসাইকেল উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।ওষুধশিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে ও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যানসার নিরোধক ওষুধ প্রস্তুতের জন্য আমদানি পর্যায়ে কতিপয় উপকরণের রেয়াতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।ওষুধশিল্পের উৎপাদনের ব্যবহৃত কাঁচামালের রাসায়নিকে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পোলট্রি ফিডের প্রয়োজনীয় উপকরণ সয়াবিন ওয়েল, ফ্লাওয়ারের ওপর শুল্ক হ্রাস করে শূন্য করা হয়েছে তবে রেগুলেটরি ডিউটি ৫ শতাংশ করা হয়েছে।ফিশিং নেট আমদানিতে শুল্ক প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া গুঁড়া দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের কাঁচামাল ফিল্ড মিল্ক পাউডার বাল্ক আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে।দেশীয় মুদ্রণশিল্প রক্ষায় মুদ্রণশিল্পের কাঁচামালে শুল্ক ১০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। কর্নফ্লাওয়ার, অ্যালুমিনিয়ামের তার আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে।বল পয়েন্ট কলমের কালি আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।ছবি ছাপানোর পণ্যসামগ্রীতে শুল্ক কমানো হয়েছে। ফ্লাক্স ফাইবারে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিগারেট, বিড়ি, জর্দাসহ সব ধরনের তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী ব্যবসা থেকে অর্জিত আদায় অপরিবর্তিত আছে ও অ্যালুমিনিয়ামের তারে রেগুলেটরি ডিউটি বাড়ছে।