রাজধানীতে সিপিবি-বাসদ’র বিক্ষোভ
প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাহার করে আত্মনির্ভরশীল ধারায় প্রগতিশীল বাজেট প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ।
রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবি ও বাসদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট গণ-প্রতারণামূলক। এ বাজের আয় ও ধন সম্পদের বৈষম্য দ্রুত গতিতে বাড়াবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন এবং ঢাকা মহানগর বাসদের সদস্য সচিব জুলফিকার আলী। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উত্থাপিত বাজেট প্রস্তাবকে চটকদার ও গণপ্রতারণামূলক বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করে কমরেড সেলিম বলেন, এই বাজেট লুটেরা ধনিকদের আরো ধনী করবে এবং ৯৯ শতাংশ গরিব-মধ্যবিত্তকে আরো দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসহায় করে তুলবে। তিনি বাজেটকে সাম্রাজ্যবাদ ও লুটেরা ধনিকশ্রেণির স্বার্থরক্ষার গণবিরোধী দলিল হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি স্থানীয় সরকারের জন্য বাজেটের ৩৩ শতাংশ থোক বরাদ্দ এবং তার ব্যয় স্থানীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করার নীতি গ্রহণের দাবি জানান।
বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে কথামালার ফুলঝুড়িতে ভরা, গতানুগতিক আখ্যা দিয়ে বলেন, এ বাজেট ধনী তোষণের। বাজেট ধনী-দরিদ্র বৈষম্য আরো দ্রুত বৃদ্ধি করবে। বাজেট ২০১৮-১৯ প্রণয়নে বৈচিত্র্যসৃষ্টি ও গণআকর্ষণ তৈরির প্রচেষ্টা থাকলেও তা অতীতের গতানুগতিকতা ও আমলাতান্ত্রিকতার বেষ্টনী ভেদ করে বেরিয়ে আসতে পারেনি। বাজেট বক্তৃতায় গোটা আর্থিক ব্যবস্থার চলমান বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম-অপচয়, দুর্নীতি, দলীয়করণদুষ্ট স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি।
কমরেড খালেকুজ্জামান আরো বলেন, ‘ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য যে গতিতে বেড়ে চলেছে বর্তমান বাজেট তা আরো দ্রুতগামী করবে এবং আগামী নির্বাচন ও বাজেট বাস্তবায়ন দুটোই হ-য-ব-র-ল অবস্থায় পতিত হওয়ার নিশ্চিত আশঙ্কা রয়েছে।’