দেশকে এগিয়ে নেয়ার বাজেট : ড. হাছান
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০১৮-’১৯ অর্থ বছরের বাজেট জনবান্ধব, উন্নয়ন, জনতুষ্টি ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বাজেট।
তিনি বলেন, এ বাজেটেই বোঝা যায় যে দেশে উন্নয়ন হয়েছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে। দেশের অর্থনীতির আকার শুধু বাড়েইনি, মহীরূহের রূপ নিয়েছে।
হাছান আরো বলেন, আর এ বাজেট জনতুষ্টির বাজেট বলেই বিএনপি এ বাজেটের লাগামহীন সমালোচনা করেছে। পুরোপুরী ভাবে না দেখেই তারা বাজেটের বিরোধীতা করেছে।
আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ আজ সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এবং খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।
বাজেট নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বাজেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন, তারা তো লেখাপড়া জানা মানুষ। তবে তারা হয়তো এখন লেখা-পড়া ছেড়ে দিয়েছেন।
বিএনপির নেতাদের উদেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি বাজেট নিয়ে সমালোচনা করতেই চান, তাহলে আগে বাজেটটি ভালভাবে পড়–ন। তারপর সমালোচনা করুন। কারণ সব দেশের বাজেটেই ঘাটতি থাকে।’
তিনি আরো বলেন, আপনারা বাজেটে ঘাটতি দেখলেন, অথচ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে যে সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে, তা তো দেখলেন না।
ড. হাছান আরো বলেন, বিএনপিকে অনেকে রাতকানা দল হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে বাজেট নিয়ে তারা যেভাবে সমালোচনা করেছেন তা বিএনপিকে দিনকানা দল বললেও অত্যুক্তি হবে না।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সরকার ২০১৮-’১৯ অর্থ বছরের যে বাজেট পেশ করেছে তা দেশের উন্নয়নের বাজেট। এ বাজেট গণমানুষের বাজেট। ব্যবসায়ীরাও এ বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি এ বাজেট নিয়ে সমালোচনা করেছে। এ বাজেটকে তারা নির্বাচনী বাজেট হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
প্রস্তাবিত বাজেটকে কল্যাণমুখী হিসেবে উল্লেখ করে কামরুল আরো বলেন, বাজেট ঘোষনার আগে কোন দ্রব্যের দাম যেমন বাড়েনি তেমনি বাজেট ঘোষনার পরও দ্রব্যমূল্যের ওপর কোন প্রভাব পড়েনি।