ফের পাহাড় ধস রাঙ্গামাটিতে। নিহত অন্তত ৮।
পাহাড় ধসে শতাধিক মৃত্যুর এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একই ঘটনা ঘটলো রাঙামাটিতে। জেলার নানিয়ারচর উপজেলার দু’টি স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নানিয়ারচরের বড়িঘাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের ধর্মচরণ পাড়া এবং সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের বড়পুল পাড়ায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। টানা বৃষ্টিপাতের মধ্যে এসব স্থানে সোমবার দিনগত রাতে পাহাড় ধসে পড়ে। নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লা আল মামুন তালুকদার পাহাড় ধসের খবর নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বড়পুল পাড়ায় সুরেন্দ্র চাকমা (৫৫), রাজদেবী চাকমা (৫০), সোনালী চাকমা (১৪), রমেল চাকমা (১৪) এবং ধর্মচরণ পাড়ায় ফুলদেবী চাকমা (৫৫), ইতি দেওয়ান (১৯), স্মৃতি চাকমা (২৩), অমর দেওয়ান (দেড় মাস) নিহত হয়েছেন।
তবে নানিয়ারচর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা জানিয়েছেন, হাতিমারায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ প্রাণের ৭১ কে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পাহাড় ধসের ঘটনা বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘটেছে। এ কারণে এখনই হতাহতের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।’
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেছেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। আমরা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজ রাখছি।’
এদিকে রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার কেচিমং মারমা প্রানের৭১কে জানিয়েছেন, সোমবার (১১ জুন) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১২ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রবল বর্ষণের পর গত বছর ১৩ জুন থেকে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ সেনা সদস্যসহ অন্তত ১২০ জন মারা যান। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। ব্যাপক ক্ষতি হয় পুরো জেলায়। তিন মাস আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে হয় প্রায় তিন হাজার মানুষকে। কাছাকাছি সময়ে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারেও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে এবং প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতি হয়।