প্রবল তুষারঝড়ে বিধ্বস্ত ইউরোপ, মৃত অন্তত ৫৫
প্রবল তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল গোটা ইউরোপ। বৃহস্পতিবার, স্থানীয় সময় সকাল থেকেই বরফের চাদরে মুড়ে যায় ইউরোপের উত্তর থেকে দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অংশ। গোটা ইউরোপ জুড়ে মৃতের সংখ্যা ৫৫ ছাড়িয়েছে। জখম বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গত রবিবার থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল থেকেই আচমকা তুষারপাত শুরু হয় ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায়। সেই সঙ্গে দোসর প্রবল তুষারঝড়।
তুষারঝড়ের কারণে স্কুল কলেজগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। বাতিল হয়েছে বহু উড়ান। ইউরোপের বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থাগুলি জানিয়েছে, গতকাল ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ড, দক্ষিণ ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায়। এই সব জায়গাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।
প্রবল তুষারপাতে ডাবলিনে বন্ধ রয়েছে বিমান পরিষেবা। ছবি:রয়টার্স।
আবহাওয়াহিদদের মতে, বছরের এই সময় ইউরোপে তুষারপাত খুবই অস্বাভাবিক। আবহাওয়ার এই ভোল বদলের পিছনে বিশ্ব উষ্ণায়নেরই (গ্লোবাল ওয়ার্মিং) প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তুষারঝড়ের কবলে পড়ে গোটা ইউরোপে ৫৫ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পোল্যান্ডেই এই সংখ্যাটা ২১। তা ছাড়া চেক রিপাবলিকে ৬ জন, লিথুয়ানিয়ায় ৫ জন, ফ্রান্সে ৪ জন, স্পেনে ৩ জন, ইতালি, রোমানিয়া ও স্লোভেনিয়ায় ২ জন করে এবং ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, তুষারপাতের কারণে এডিনবার্গ, উত্তর ইতালি, ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়েছে। ঝড়ের কারণে গতকাল সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভা এবং স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিমানবন্দর দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ রাখা হয়। এডিনবার্গ, ডাবলিন এবং আমস্টারডার্মের শিফোল বিমানবন্দর থেকে ডজন খানেক উড়ান বাতিল করা হয়েছে। আগামী শনিবারের আগে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হবে না বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। রেল লাইনে বরফ জমে থাকার কারণে উত্তর ইতালিতে ৫০ শতাংশেরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।