উসাইস বোল্ডকে ছাড়িয়ে উঁচুতে এমবাপ্পে
এমবাপ্পেকে সামলাতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেয়েছে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। তার গতির কাছে নাকানি চুবানি খেয়েছেন মাশ্চেরানো, রোহো, ত্যাগলিয়াফিকোরা। চিতার ক্ষিপ্রতায় আর্জেন্টিনা রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের পেছেনে ফেলে আর্জেন্টিনা বক্সে ঢুকে গেছেন তিনি। কিলিয়ান এমবাপ্পে দৌড়ের গতির কাছেই ম্যাচের শুরুতে ভেঙে গেছে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ এবং সাম্পাওলির কৌশলও।
রাশিয়ার কাজানে শনিবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জোড়া গোল করলেন এমবাপ্পে। উনিশ বছরের এই ফরোয়ার্ডের গতি, স্কিল, টেকনিক মুগ্ধ হয়েছেন গোটা ফুটবল বিশ্ব। ফ্রান্স দলে তাকে অনেকেই ভবিষ্যত ‘জিদান’ বলে আখ্যা দিতে শুরু করে দিয়েছেন। কারো কারো মতে, এমবাপ্পে থিয়েরো অঁরি।
‘শেষ ষোলোয়’ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুটি গোল করা ছাড়াও ফ্রান্সকে একটি পেনাল্টি আদায় করে দিয়েছেনে তরুণ এমবাপ্পে। তার আদায় করা সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে যান অ্যান্টনিও গ্রিজম্যান। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর প্রথম কয়েক মিনিটের মাথায় দারুণ এক আক্রমণ করেছিলেন এমবাপ্পে।
ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপ্পে আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডার মার্কোস রোহোর আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ায় তাকে ট্যাকল করে বসেন। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। এমবাপ্পের সেই দৌড় রেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি উঠে গেছেন উসাইন বোল্টের রেকর্ডের ওপরে!
২০০৯ সালে জার্মানির বার্লিনে জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ের রেকর্ড গড়েন। সেদিন বোল্টের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ৩৭.৬ কি.মি। মেসিদের বিরুদ্ধে এদিন এমবাপ্পের দৌড়ের গতি ছিল প্রতি ঘন্টায় ৩৮ কি.মি।