ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর সময় এএসআই আটক
যশোরের চৌগাছা থানার এএসআই কামরুজ্জামান পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর সময় জনতার হাতে আটক হন। অন্য এএসআই আকবর ও এক কনস্টবল পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে দোকানপাট বন্ধ করে দেয় বাজার কমিটি। এ সময় তারা ওসিসহ ওই দুই এএসআই ও কনস্টবলকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চৌগাছা বাজারের স্বর্ণপট্টিতে অবস্থিত সেন কে জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এএসআই কামরুজ্জামান, এএসআই আকবর ও এক কনস্টবল সেন কে জুয়েলার্সে আসেন। এ সময় মালিক রবিন সেনের বড় ছেলে বাপ্পীর পকেটে কাগজে মোড়ানো ইয়াবা দিয়ে আটকের চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি টের পেয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে তারা চিৎকার শুরু করে। পরে জনতা এসে বাপ্পীকে উদ্ধার করে এবং এএসআই কামরুজ্জামানকে আটক করে। এ সময় এএসআই আকবর ও এক কনস্টেবল পালিয়ে যায়। পরে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শামীম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জনতার হাত থেকে এএসআইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চৌগাছা থানা সেকেন্ড অফিসার এসআই আকিক বলেন, আসলে ঘটনাটি একটি ভুল বোঝাবুঝি।
এ ব্যাপারে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইবাদত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওসিসহ ওই দুই এএসআই ও কনস্টবলকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না। মাইকিং হচ্ছে, আমরা বিকেলে মিছিল সমাবেশ করব।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শামীম হোসেন ব্যস্ত আছি বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেন।