ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় হয়ে বিশ্বকাপ শেষ করল বেলজিয়াম
২১তম ফুটবল বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান লাভ করল বেলজিয়াম। স্থান নির্ধারনী ম্যাচে আজ বেলজিয়াম ২-০ গোলে হারায় ইংল্যান্ডকে। বিশ্বকাপ আসরে এই প্রথম তৃতীয় স্থান পেল বেলজিয়াম। যা বিশ্বকাপ মঞ্চে বেলজিয়ামের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এর আগে ১৯৮৬ সালে চতুর্থ হয়েছিলো বেলজিয়াম। অপরদিকে, এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করল ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৯০ সালে চতুর্থ হয়েছিল ইংলিশরা।
চলতি বিশ্বকাপে একই গ্রুপে থাকায় আগেই দেখা হয়েছিলো দুই দলের। গ্রুপ পর্বের গুরুত্বহীন ঐ ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিলো বেলজিয়াম। সেন্ট পিটার্সবার্গে আজ স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিও বলতে গেলে একরকম গুরুত্বহীন হয়ে ছিল দুই দলের কাছে। তবে ম্যাচে খুব দ্রুতই গোল আদায় করে নেয় বেলজিয়াম।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে মিডফিল্ডার নাসের চাডলির ক্রস থেকে বল পেয়ে গোল করেন ডিফেন্ডার টমাস মুয়েনিয়ার (১-০)। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেমিফাইনাল খেলতে না পারা মুয়েনিয়ার জাতীয় দলের হয়ে ষষ্ঠ গোল করলেন।
গোল হজমের পর বল দখলে নিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। ৩০ মিনিটের মধ্যে পাঁচ-ছয়টি আক্রমণ করে চাপে ফেলে দেয় বেলজিয়ামকে। কিন্তু গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারের দৃঢ়তায় গোল হজম করতে হয়নি বেলজিয়ামকে।
ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষদিকে মধ্য মাঠের দখল নিয়ে ইংল্যান্ডের সীমারায় বেশক’টি আক্রমণ করে বেলজিয়াম। কিন্তু তাদের আক্রমণগুলো গোলের স্বাদ নিতে পারেনি। তাই ১-০ ব্যবধান রেখেই ম্যাচের বিরতিতে যায় বেলজিয়াম।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অর্থাৎ ম্যাচের ৫৪ মিনিটে ভালো একটি আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। ডিফেন্ডার কিয়েরান ট্রিপায়ারের পাস থেকে বল পেয়ে ফাঁকা পোষ্টে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মিডফিল্ডার জেসে লিংগার্ড।
এরপর ৭৩ মিনিটে মধ্য মাঠ থেকে আরো একটি ভালো আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। লিংগার্ডের ক্রস থেকে বেলজিয়ামের গোলমুখে হেড নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার এরিক ডায়ার। ডায়ারের হেড থেকে আসা বল প্রতিহত করেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবাউট কর্টুইস।
ম্যাচের শেষ দিকে তিনটি ভালো আক্রমণ করে বেলজিয়াম। ইংল্যান্ডের রক্ষণদূর্গে ফাটল ধরিয়ে গোল আদায় করার সুযোগ তৈরি করেন বেলজিয়ামের মধ্য মাঠের খেলোয়াড়রা। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৮২ মিনিটে গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে বেলজিয়াম। মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুয়ইয়ানের পাস থেকে বল নিয়ে ইংল্যান্ডের বক্সের ভেতর থেকে ঢুকে গোলে শট নেন স্ট্রাইকার এডেন হ্যাজার্ড (২-০)। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলেই ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম।